নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২২ নভেম্বর ২০২৪

মাহবুব-শফির নেতৃত্বে পাগলায় চাঁদাবাজি, র‌্যাবের অভিযানে স্বস্তি

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৪:৩৬, ৮ এপ্রিল ২০২২

মাহবুব-শফির নেতৃত্বে পাগলায় চাঁদাবাজি, র‌্যাবের অভিযানে স্বস্তি

ফতুল্লার কুতুবপুরের পাগলা বাজার এলাকায় যানবাহন থেকে চলছে রমরমা চাঁদাবাজি। এই চাদাঁবাজ চক্রের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ যানবাহন চালকেরা ও জনসাধারণ ৷  যানজট নিরসনের নামে এই চাঁদাবাজি চললেও উল্টো যানজট বেড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

 

আর এই অপকর্মে নেতৃত্ব দিচ্ছে পাগলার চিহ্নিত চাঁদাবাজ আমতলার মাহবুব ওরফে অটো মাহবুব ও চিতাশাল খালপাড়ের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, জুয়াড়ি ও চাঁদাবাজ শফি৷ স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির আশ্রয়-প্রশ্রয়েই চাদাঁবাজ চক্র এই রমরমা চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। 


স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, পাগলা থেকে জালকুড়ি সড়কটি বেশ সরু। তবে  ব্যস্ততম ৷ এই  সড়কে কমপক্ষে ১৫০০টি অটোরিকশা, মিশুক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই এইসব বাহন কোনো প্রকার চাঁদা ছাড়াই এই রাস্তায় চলাচল করে আসছিলো৷

 

কিন্তু অটো মাহবুব ও জুয়াড়ি শফি সিন্ডিকেট ওই রাস্তায় চাঁদাবাজি করতে পাঁয়তারা করে আসছিলো৷ এ নিয়ে দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তারা৷ একপর্যায়ে ইউপি অফিসে গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সেন্টুর সাথেও আলোচনা করে তারা। উপরমহলের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে পাগলা বাজারে চেয়ারম্যান সেন্টুর উপস্থিতিতে ওই সড়কে চাঁদাবাজির দায়িত্ব বুঝে নেয় মাহবুব- শফি গং৷ 


একদিন পর থেকেই প্রতিটি অটোরিকশা থেকে ত্রিশ টাকা, মিশুক থেকে বিশ টাকা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা থেকে দশ টাকা করে চাঁদাবাজি শুরু হয়। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে করা হতো মারধর। যানজট নিরসনের নামে ওই চাঁদাবাজি শুরু হলেও পয়েন্টে পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজির ফলে যানজট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। রমযান মাস শুরু হওয়ার পরে জনভোগান্তি সীমা ছাড়ায়। 


চাঁদাবাজির প্রতি প্রভাবশালী মহলের  মদদ ও সমর্থন থাকায় ভুক্তভোগী চালকরা মুখ বুজে সয়ে থাকে। ওই সড়কে অটোরিকশা, মিশুক ও রিকশা থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ত্রিশ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করা হলেও এই টাকার কোনোপ্রকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়নি৷ মাত্র দুইজন লাইনম্যান ৫০০ টাকা হাজিরায় তথাকথিত যানজট নিরসনে কাজ করলেও তাদেরকে চাঁদা আদায়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যেতো।


সর্বশেষ, বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযানে জনসাধারণ ও সাধারণ চালকদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে৷ কিন্তু তারা বলছেন, অভিযানে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হলেও চাঁদাবাজির মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাহিরেই রয়ে গেছে। আর এতে করে তারা অচিরেই আবারও নতুন করে চাঁদাবাজির পায়তারা শুরু করবে।