
ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে নারায়নগঞ্জের ইটভাটা মালিক- শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইট ভাটার সাথে শত শত শ্রমিক জড়িত। তারা ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে, জিগজাগ ইটভাটায় পরিদর্শনের নামে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে। সেই সাথে মোবাইল কোর্টের নামে জরিমানা, ভোল্ডার মেশিন দিয়ে প্রস্তুতকৃত ইট ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানান। ইট ভাটায় এই সকল হয়রানি বন্ধ না হলে ঈদের পর বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ারও হুশিয়ারি দেন ।
নারায়নগঞ্জের ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি মমিন খান বলেন, বিভিন্ন ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। এমনকি অভিযানের নামে ইটভাটায় গিয়ে হয়রানি করছে।শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা সরকারকে নিয়মিত ভ্যাট দেই। তাই ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে লক্ষ লক্ষ মালিক শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। না খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকবে তাদের পরিবার।আর এই সকল অভিযান বন্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
নারায়নগঞ্জ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এর পূর্বে সকাল ১১ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে কয়েকশ ইটভাটা মালিক ও শ্রমিক নিয়ে বিক্ষোভ করে।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা ইট প্রস্তুতকারী সমিতির সভাপতি মমিন খান, শাহাদাৎ হোসেন, আব্দুল আজিজ দেওয়ান, সলিমুল্লাহ, মোক্তার হোসেন ভূইয়া, আমানুল্লাহ আমান, গিয়াস উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, কবির হোসেন, সাইদুল ইসলাম, মনির হোসেন, সুমন মিয়া, মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ।
বিক্ষোভ শেষে জিগজাগ ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য ৬ দফা দাবিতে নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয় ইটভাটা মালিকরা।