টঙ্গীর ময়দানে সাদপন্থিদের ইজতেমার অনুমতি দিলে তা প্রতিহত করতে সারা দেশের লাখো তৌহিদী জনতা কাফনের কাপড় মাথায় দিয়ে লং মার্চ করবে বলে হুঁশিয়াশি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
শুক্রবার বাদ জুম্মা সাদপন্থীদের নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হাজীগঞ্জ নতুন সড়ক সংলগ্ন মার্কাজ স্থাপন বন্ধ করা এবং তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হাজীগঞ্জ এলাকায় ওলামা মাশায়েখ ও তাবলীগের সাথীবৃন্দের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা ও তাবলীগের সাথীবৃন্দ সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
মাওলানা আব্দুল আউয়াল আরও বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে ডিসি এসপি দুইজনই নতুন এসেছেন। তাদেরকে নারায়ণগঞ্জের ম্যান্ডেট বুঝতে হবে। নারায়ণগঞ্জের তৌহিদী জনতা কোনদিন অন্যায়কারীদের ছাড় দেয়নি ভবিষ্যতেও দিবেনা। এখানে কোন ধরনের আস্তানা করার চেষ্টা করলে মাটিসহ উৎখাত করে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়া হবে।
টঙ্গীর ময়দানে সাদপন্থীদের ইজতেমা হতে দেয়া হবেনা। তাদের ইজতেমা অনুমতি দিলে সেটা প্রতিহত করতে সারাদেশের লাখো লাখো তৌহিদী জনতা কাফনের কাপড় মাথায় দিয়ে লং মার্চ করবে। বর্তমান সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাদপন্থীরা যোগসাজশ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদের বলেন, সাদপন্থীদের এই আস্তানা দেশ, জাতি এবং ইসলামের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রের আতুর ঘর। আমরা বাংলাদেশের মাটিতে এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের কোন আস্তানা গেরে বসতে দিব না।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা জুনাইদ, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মুফতী হারুনুর রশিদ, মুফতী জাকির হোসেন কাসেমী মুফতী মাহমুদ হাসান, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা সুলতান আহাম্মেদ, মাওলানা শাহজালাল, মুফতী মনিরুজ্জামান, মুফতী নেয়ামত উল্লাহ, মুফতী আব্দুর রহিম, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন মাদানী, মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা জুবায়ের, মুফতী ইমরান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, হাজীগঞ্জ এলাকায় কয়েকশ' ফুটের মধ্যে ৩ টি মসজিদ থাকলেও সাদপন্থীরা সেখানে ফিতনা ছড়ানোর জন্য মার্কাজ নির্মাণের পায়তারা করছে। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী। সাদপন্থীরা রাতের আধারে নিরীহ ওলামা মাশায়েখ ও তাবলীগের সাথীদের উপর হামলা করে খুন করেছে।
খুনী সাদপন্থীদের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। সাদপন্থীরা ভারতের দালালী করে। সাদপন্থীদের হাজীগঞ্জ এলাকায় কোন অবস্থাতেই মার্কাজ করতে দেয়া হবেনা বলে বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।