ফতুল্লায় স্থানীয় শ্রমিক দলের কার্যালয় ভাঙচুর সহ এক নেতাকে মারধর করার ঘটনায় রশিদ মেম্বারকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) সকালে শ্রমিক দল নেতা মাসুম শেখ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, রশিদ মেম্বার বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে এলাকায় রাজরাজত্ব কায়েম করেছিল। বিগত সময়ে টাকার গরমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাউকে তোয়াক্কা না করে দাপটে সহিত প্রভাব বিস্তার করেছে।
আর আওয়ামী লীগ পতনের পর নিজেকে ভোল্ড পাল্টে গায়ে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগানোর চেষ্টায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। রশিদ মেম্বার নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে যাহিল করে বিশাল এক বাহিনী তৈরি করে। এই বাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে লুটপাট, দখলবাজি সহ নানা অপকর্মে লীপ্ত হয়।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মার্কেট, বাড়ি, খামার দখল করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দখলবাজি নিয়ে আপন মামা বাদল মিয়ার সাথে বিরোধ তৈরি হয়। বাদল সহ তার লোকদের প্রতিহত করতে বহিরাগত লোক ভাড়া করে আনে।
আর দেশীয় অস্ত্র রক্ষিত রাখে রশিদ মেম্বার এর তেলের পাম্প এবং ইটভাটায়। এমনকি কেরানীগঞ্জ থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আনে এলাকায় মহড়া দেয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
শ্রমিক দল নেতা মাসুদ শেখের দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বক্তাবলী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টা পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ শেখ সহ তার লোকজনকে বেশ কিছু দিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছে বক্তাবলী ইউনিয়নের মেম্বার রশিদ সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ ডিসেম্বর সকালে রশিদ মেম্বারের হুকুমে তার বাহিনীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বক্তাবলী ঘাট সংলগ্ন শ্রমিক দলের অফিসে এসে মাসুদ শেখকে মারধর করে। তাতে প্রতিবাদ করতে গেলে অফিস ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এসময় জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ছবি সহ জেলার নেতাদের ছবি ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।