ফতুল্লার শীর্ষ স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মহসীন ওরফ মাইচ্ছা মহসীন আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে খোলস পাল্টে আইন-শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স পরিচয় বহন করে ফতুল্লাঞ্চলে আবারো মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে পরেছে।
তথ্যা মতে, মাইচ্ছা মহসীন দাপার রেলস্টেশন, পিলকুনী, ব্যাংককলোনী, জোড়পুল, হকরোলিং মিলস, শিয়াচর তক্কার মাঠ, পিয়ারা বাগানসহ আশপাশ এলাকাজুড়ে গড়ে তুলেছে মাদকের বিশাল বাজার। তার এই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে ১৬-১৮ বছর বয়সী ২০-২৫ জনের মাদক বহনকারী বা খুচরা বিক্রেতা। যারা মহসীনের হয়ে কমিশন ভিত্তিক মাদক বিক্রি করে থাকে।
এ ক্ষেত্রে সে নিজেকে ঢাকা মিন্টু রোডের ডিবি,নারায়নগঞ্জ জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহ আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে স্থানীয় মহলে প্রভাব বিস্তার করে নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা করে আসছে।
জানা যায়, ফতুল্লাঞ্চলে যে সকল মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের মধ্যে সবচাইতে চতুর ধূর্ত মাদক ব্যবসায়ী হলো মহসীন ওরফে মাইচ্ছা মহসীন। সে যখনই মাদক সহ প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয় তারপর আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে কখনো ফল বিক্রেতা, কখনো সবজি বিক্রেতা,মাছ বিক্রেতা হয়ে কিছুদিন অতিবাহিত করে।
সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে সে অতি গোপনে পাইকারি ভাবে শুরু করে মাদক ব্যবসা। এমনকি জেলা পুলিশ সুপারের নিকট মাদক ব্যবসা করবেনা এবং সুস্থ জীবনে ফিরে আসার অঙ্গিকার করে সে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরে।
জেলা পুলিশ সুপারেরে নিকট লিখিত ভাবে মাদক ব্যবসা না করার অঙ্গিকার করার কয়েক মাস পর সে ফতুল্লাতে আইসের সর্ববৃহত্ত মাদকে চালান সহ ঢাকার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট গ্রেফতার হয়। এরপর আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে ভ্যানগাড়ীতে করে ফলের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করে।
কয়েকদিন যেতে না যেতেই ১০ গ্রাম হেরোইন সহ নারায়নগঞ্জ জেলা কাউন্টার টেরইজমের হাতে গ্রেফতার হয়। বেশ কিছুদিন কারাগারে আটকে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো জড়িয়ে পরে মাদক ব্যবসায়।
কয়েকমাসের ব্যবধানে মাইচ্ছা মহসীন ২৭ গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার হয় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের হাতে। বেশ কয়েকমাস পর আদালত থেকে জামিনে বের হয়। বেরিয়ে এসে আবারো পুরাতন পেশা মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে পরে।
তবে এবার লেবাস পাল্টে আইন-শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে সর্বত্র দাবড়িয়ে বেরিয়ে নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা করে আসছে।