ফতুল্লার মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় সন্ত্রাসী লেলিয়ে হাজী আলমগীর হোসেন নামে এক সাধারণ ব্যবসায়ীকে স্বপরিবারে হত্যা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিল্পপতি আবু সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।
জায়গা দখলের জন্য এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা সহ অয়ন ওসমানের সমন্ধি ভিকির সহযোগী সন্ত্রাসীদের দিয়ে ওই ব্যবসায়িকে অপহরণ করার চেষ্টাও করা হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি আলমগীর।
অভিযোগে আলমগীর জানান, ২০১৭ সালে হিরু হক ও শিউলী বেগমের কাছ থেকে মাসদাইর মৌজার ৬ শতাংশ জায়গা কেনেন তিনি। সম্পত্তিতে আবু সিদ্দিকের চোখ পড়ে। সে তার লোকজন দিয়ে জায়গার দুই পাশে বাউন্ডারী নির্মাণ করে।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বহুবার মীমাংসার চেষ্টা করলেও প্রভাবশালীদের নিয়ে হুমকি ধামকি দিতো। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর আওয়ামীলীগের নেতারা পালিয়ে গেলে নতুন করে ওই জমি দখলের চেষ্টা শুরু করে আবু সিদ্দিক।
১ অক্টোবর বিকেলে সিদ্দিকের নির্দেশে পাকাপুল এলাকার আবুর ছেলে স্বপন, হাজী ইব্রাহীমের ছেলে রনি সহ ১০/১৫ জন মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় ব্রাদার্স টাওয়ারে অবস্থিত তার অফিসে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করতে উদ্যত হয়।
এ সময়ে তারা চাঁদা দাবি করে আর চাঁদা না দিয়ে সম্পত্তিতে গেলে আমাকে ও আমার পরিবারকে জীবনে শেষ করে দিবে বলে হুমকি দেয়। সেই সাথে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথাও বলে।
এ ব্যাপারে আবু সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ জায়গা নিয়ে শনিবার শালিশ রয়েছে।
রাস্তা আটকে বিভিন্ন জনের জায়গা দখলের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করে বলেন, গত ৫ বছর আমি কোন জায়গা কিনিনি। প্রতিবেদক জানতে চান, এর আগে কী কিনেছেন। জবাবে আবু সিদ্দিক বলেন, কারখানা যখন আছে জায়গা তখন কিনতে হবে।
এদিকে স্থানীয় বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলমগীরকে হুমকি দিতে যে স্বপনকে পাঠানো হয়েছে সে কিছুদিন আগে অয়ন ওসমানের সমন্ধি ভিকির সহযোগী ছিলো। সে এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। আরেক মাদক বিক্রেতা রনিকে এলাকায় ছিনতাইকারী হিসেবে চেনে। এদের দিয়ে আলমগীর হোসেনের মতো ব্যক্তিকে হেয় করে আবু সিদ্দিক সন্ত্রাসকে উসকে দিলো।
তারা আরো জানান, আবু সিদ্দিক সব সময়েই সন্ত্রাসীদের সাথে সম্পর্ক রেখেছে। এবার পট পরিবর্তনের পর তার গার্মেন্টের ঝুট আনতে গেলে সবাইকে বলে দিয়েছে, আগে আমার জায়গা দখল করে দাও তারপর ঝুট নাও।
প্রসঙ্গত: শোভন গ্রুপের মালিক সিদ্দিকের নামে এলাকায় রাস্তা আটকে অনেকের জায়গা কেনার অভিযোগ রয়েছে।