
বন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধা এক নারী ৩৫ বছরের অর্জিত সকল ধন সম্পদ নিজ খালা খালু কর্তৃক আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিবাদ করার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় ২ নারী ও ১ শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা ৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
আহতরা হলো মিম (২৪) মাকসুদা (১৭) সাকিল (১০) জামাতা নুরু মিয়া (৩৫) ও আনজু মিয়া (৪৫)। স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। গত রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত আনজু মিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে প্রতারক ও হামলাকারি খালু ইমান আলী তার স্ত্রী রেহানা বেগম, ছেলে অপু, মেয়ে ইমা, জনি, আনোয়ারা, বাদশা ও মুসলিমা নাম উল্লেখ্য করে আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকার অভিযোগের বাদী আনজু মিয়ার মা মোরশেদা বেগম দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে প্রবাসে জীবন যাপন করে আসছিল।
অভিযোগের বাদী মায়ের বিদেশ থাকা কালীন সময়ে তার পাঠানো টাকা দিয়ে জমি, বসতবাড়ী, কাপড়ের কারখানাসহ দুইটি দোকান ক্রয় করে তার খালা রেহেনা বেগম তার স্বামী ইমান আলী। এর ধারাবাহিকতা গত ২৩ এপ্রিল দুবাই প্রবাসে থাকা কালীন অবস্থায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা নারী মোরশেদা বেগম মৃত্যু বরণ করে। পরে গত রোববার (২৭ এপ্রিল) তার মৃতদেহ তার নিজ বাড়িতে আনা হয়।
ওই সময় রেমিট্যান্স যোদ্ধা নারী ছেলে আনজুসহ অন্যান্য ওয়ারিশগন তাদের জায়গা সম্পত্তি হিসাব জানতে চাইলে ওই সময় প্রতারক খালা রেহানা বেগমের হুকুমে তার স্বামী ইমান আলী, ছেলে অপু, মেয়ে ইমা, জনি, আনোয়ারা, বাদশা ও মুসলিমাসহ আরো ৫/৬ অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে প্রবাসী নারী ছেলে আনজু মিয়া ও তার জামাতা নুরু মিয়া উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে।
পরে তাদের চিৎকারের শব্দ পেয়ে আনজু মিয়ার মেয়ে মিম ও ভাতিজি মাকসুদা ও ভাতিজা শাকিল এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা তাদেরকে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে বসত বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয়।