নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

২৬ মার্চ ২০২৫

বন্দরের লক্ষণখোলায় ভূমি নিয়ে সংঘর্ষ, ৭দিনেও থামেনি উত্তেজনা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:১৭, ২৫ মার্চ ২০২৫

বন্দরের লক্ষণখোলায় ভূমি নিয়ে সংঘর্ষ, ৭দিনেও থামেনি উত্তেজনা

বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলায় ভূমি নিয়ে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের সাত দিন অতিবাহিত হলেও এখনো উত্তেজনা থামেনি। দুই পক্ষেরই পাল্টাপল্টি মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। মামলার পর একটি পক্ষ ইতিমধ্যে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

অপর পক্ষ জামিন নিতে পারেনি। তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রভাব খাটিয়ে ভূমি জবর দখলে রাখার চেষ্টা করছেন বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে। এ ভূমি নিয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান। দে/মামলা নং ৪৬/২৫।

জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ দুপুরে বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার মজনু মিয়া, সাইফুল, আফজাল, সাফিয়া, রহিমা, হোসেন, সহিদ, শান্ত ও আনারদের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত রেকর্ডিয় ভূমি একই এলাকার তাহের, জরিনা বেগম, সুরাইয়া,মনজু শেখ, মোকলেস, আবুল, আরিফ, নজরুলরা বহু বছর ধরে দখল করে রাখা ভূমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলায় দুই পক্ষ রক্ত ক্ষয়ি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

উভয় পক্ষের লোকেরা আহত হয়। এ সংঘর্ষ নিয়ে  উভয় পক্ষ থানায় মামলা করে মামলা নং ৩২ ও ৩৫। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার বাদী মাজেদা বেগম জানান, আমার স্বামী মজনু মিয়ার দাদী সমলা বিবি লক্ষণ খোলা মৌজায় এসএ খতিয়ান নং ১৯৫ ও আরএস খতিয়ান নং ৪৯৮।

এসএ-৪১, আর এস-৩৪২ দাগের ২৪ শতক ভূমি ১৯৫০ সালে জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল জাব্বারের মৃত্যুর পর ভূমি মালিক ওয়ারিশ কদবানু ও আব্দুল হাসেমের কাছ থেকে ১১২০ নং দলিলে ক্রয় করেন।

পরবর্তিতে এসএ-৪১ ও আর এস রেকর্ডে ৩৪২ দাগে সমলা বিবির নামে ২৪ শতাংশ রেকর্ড হয়। আমরা সমলা বিবির ওয়ারিশরা ইতিমধ্যে যার যার হিস্যাত নামজারিও করেছেন । কিন্তু তারা আমাদের রেকর্ডিয় ভূমি জবর দখল করে রাখে।

আমরা তাদের কোন প্রকার স্থাপনা না করার জন্য আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। এ জন্য আমরা থানায় মামলা দায়ের করি। কারণ তারা এর আগেও স্থানীয় পঞ্চায়েত বিচাল সালিস করলেও করলে তারা তা মানেননা।

এ ব্যপারে অপর মামলার বাদী জরিনা বেগম জানান, আমাদের পূর্ব পুরুষরা তাদের কাছে ১৪ শতক জমি বিক্রি করেছে। কিন্তু তারা জালিয়াতি করে ২৪ শতক লিখে নিয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছি। আমারা আমাদের স্থাপনা ভেঙ্গে মেরামত করতে গেলে তারা আমাদের বাধা দেয়।

এবং আমাদের উপর হামলা চালায়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমি দখলকারী নজরুল ইসলাম বলেন, এ সম্পত্তি আমাদের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্য। আর যারা এখন দাবি করছে তারা ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবি করছে।

আদালতের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও নজরুলরা ভূমি দখলের জন্য স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আর এ নিয়ে এখনো উত্তেজনা থামেনি। এলাকাবাসী জনানা, কাজপত্রে জমির মালিক মজনুরা আর দখল করে রেখেছিল মঞ্জুর শেখরা।