বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ১নং মাধবপাশা সেনপাড়া এলাকায় অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে কুখ্যাত মাদক সন্ত্রাসী রনি ওরফে তাউরা রনি ও তার বাহিনী। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী,রাহাজানি ও খুন-খারাবিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে দুর্র্ধষ এই চক্রটি। কারণে-অকারণে অহেতুক এলাকাবাসীর উপর অত্যাচারের স্টীমরোলায় চালায় তারা।
রনি বাহিনীর সদস্যরা ভয়ংকর অস্ত্রধারী হওয়ায় নিরীহরা প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না। যে কারণে বিনাবাধায় তারা এলাকায় যাচ্ছেতাই করে বেড়াচ্ছে। এসবের শেল্টারে রনি ওরফে তাউরা রনি নিজেই সরাসরি নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। অপকর্মের ধারাবাহিকতায় রনি বাহিনী বেশ কিছুদিন ধরে ১নং মাধবপাশা বড় জামে মসজিদের টয়লেটের তালা ভেঙ্গে সেটি জোরপূর্বক ব্যবহার করে আসছিল।
এ ব্যাপারে মসজিদ কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। এক পর্যায়ে ১নং মাধবপাশার সইল্যা মিয়ার ছেলে রনি ওরফে তাউরা রনি,সেনপাড়ার অকিলউদ্দিনের ছেলে আশরাফুল,দুলাল মিয়ার ছেলে বাপ্পী, ২নং মাধবপাশার দীল মোহাম্মদের ছেলে ইনসান,রনির স্ত্রী সিমু রানী,দুলাল মিয়ার স্ত্রী পিয়ারা বেগমসহ ১০/১২জনের একটি সংঘবদ্ধ দল গত ১৫ জানুয়ারী রাত ১১টায় ওই মসজিদের স্টোর রুমের তালা ভেঙ্গে প্রায় দেড়লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ সময় হামলাকারীরা দেশী-বিদেশী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘারমোড়া এলাকার কালাচান মিয়ার ছেলে ইসলামের বসত ঘরে ৩রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতংক সৃষ্টি সৃষ্টিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ি-ঘর কোপায়। পরে তারা ইসলামকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে নগদ ১লাখ টাকা নিয়ে যায়।
বর্তমানে সন্ত্রাসী রনি বাহিনীর ভয়ে তটস্থ ইসলামসহ আশ পাশের পরিবারের লোকজন। উপায়ন্তর না পেয়ে ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে হামলার শিকার ভুক্তভোগী ইসলাম বাদী হয়ে রনি ও তার বাহিনীর ৫ সদস্যের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে বন্দর থানা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্থানীয় ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।