বন্দরে যাত্রীবাহী শ্যামলী পরিবহনে তল্লাশী চালিয়ে ১ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ রাসেল খান (৩০) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।
ধৃত মাদক ব্যবসায়ী রাসেল খান কুষ্টিয়া জেলার একই থানার উদিবাড়ী এলাকার ফরহাদ খানের ছেলে। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক ইকবাল আহমেদ দিপু বাদী হয়ে রোববার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে ধৃতের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিকে রোববার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলা ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী বাস তল্লাশী করে ওই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক ইকবাল আহমেদ দিপুসহ সঙ্গীয় র্ফোস রোববার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে অভিযান চালায়। ওই সময় ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব ১৫-০২২৪ নাম্বারের যাত্রীবাহী বাস তল্লাশী করে ১ হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক কারবারি রাসেল খানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
অপরদিকে, বন্দরে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত ২ পলাতক আসামীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (৪রা জানুয়ারি) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীরা হলো বন্দর থানার সোনাকান্দা এলাকার মৃত আলিস মিয়ার ছেলে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইমরান মিয়া (৩৩) বন্দর ঝউতলা এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী মেরাজ (২৮) ও স্বল্পেরচক এলাকার মৃত আক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে বন্দর থানার দায়েরকৃত ৮(৯)২৪ নং মারামারি মামলার আসামী আরিফ ওরফে টাকলা আরিফ (৩৮)।