বন্দরে ১১০ কার্টুন ব্যাটারী মালামাল ট্রাকযোগে পৌছানোর চুক্তির কথা বলে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ট্রাক ড্রাইভার আলআমিন ও ট্রাকটির মালিক মোজাম্মেলের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
গত শুক্রবার ( ৩ জানুয়ারী) শহীদ কার্গো এন্ড ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর ম্যানেজার মোহাম্মদ ইউনুছ শাহ বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা- নং৩(০১)২৫ইং। ধারা; ৩৮১ পেনাল কোড।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ট্রাক মালিক ও ট্রাক চালককে গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ।
মামলার আসামীরা হলো সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্বপুর থানার ছাতারকোনা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী মিয়ার ছেলে ট্রাক চালক আল মামুন (২৩) ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার শিতালী এলাকার মহসিন মোল্লা মিয়ার ছেলে ট্রাক মালিক মোজাম্মেল (৫৩)।
শহীদ কার্গো এন্ড ট্রান্সপোর্ট কোম্পাীর ম্যানেজার মোহাম্মদ ইউনুছ জানায়,আমি বন্দর থানাধীন লক্ষনখোলা পাতাকাটাস্থ শহীদ কার্গো এন্ড ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছি। ২নং বিবাদী মোজাম্মেল হকের একটি ট্রাক রহিয়াছে। যার রেজি নং ঢাকা মেট্রো ড ১২-০৩৬৬।
উক্ত ট্রাকটি ১নং বিবাদী আল মামুন ড্রাইভার হিসেবে চালাইয়া আসিতেছে। ঘটনার পূর্ব হইতে ১ ও ২ নং বিবাদী আমাদের প্রতিষ্ঠান শহীদ কার্গো এন্ড ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর মালামাল বিভিন্ন স্থানে পৌছাইয়া দিত।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন মোল্লা সাইকেল প্রতিষ্ঠানে ৫৫ কর্টুন ব্যাটারী ও বাগের হাট জেলার সদর থানাধীন বাগের হাট সাইকেল প্রতিষ্ঠানের ৫৫ কার্টুন ব্যাটারী সর্বমোট ১১০ কার্টুন ব্যাটারী যাহার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা বন্দর থানাধীন লক্ষনখোলা ডিজেডিজি প্রতিষ্ঠান হইতে পরিবহনের জন্য উল্লেখিত বিবাদীদের সহিত চুক্তি হয়।
১নং বিবাদী আল মামুন গত গত ২৪ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৮টা ২০ ঘটিকার সময় বন্দর লক্ষনখোলা ডিজিডিসি প্রতিষ্ঠান হইতে উল্লেখিত ব্যাটারী নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন মোল্লা সাইকেল নামক প্রতিষ্ঠানে এবং বাগের হাট সদর থানাধীন বাগেরহাট সাইকেল নামক প্রতিষ্ঠানে পৌছানোর উদ্দেশ্যে ১নং বিবাদী আল মামুন নিজ দায়িত্বে মালামাল ট্রাকে উঠাইয়া রওয়ানা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে মালামাল উল্লেখিত গন্তব্যে না পৌছাইলে ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় উক্ত ১নং বিবাদী আল মামুনের নাম্বারে ফোন দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এমনকি গাড়ির মালিক ২নং বিবাদী মোজাম্মেলের সহিত যোগাযোগ করলে তার মোবাইলটিও বন্ধ পায়। পরবর্তিতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ গাড়ির মালামালের কোন হদিস না পেয়ে উভয়ের যোগসাজসে চুরি করে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা এ দায়ের করেন। এদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা চোরাইকৃত ব্যাটারী উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছে।