বন্দরে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে দ্বীন ইসলাম নামে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। ওই সময় হামলাকারীরা পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও ভাংচুর চালিয়েছে।
এ ঘটনায় এক এসআই, দুই এএসআই ও ২ কন্টেবলসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন- বন্দর থানার এসআই শহিদুল ইসলাম, এএসআই রেজাউল করিম, এএসআই হায়দার আলী, কনস্টেবল আব্দুল কাদের ও শফিকুল।
এ ঘটনায় পুলিশ নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তাকৃতরা হলো- খোরশেদ কসাই (৪৫), দ্বীন ইসলামের স্ত্রী পুতুলী বেগম (৪০) ও তার মেয়ে দিবা প্রকাশ ওরফে লিটা প্রকাশ লিজা (১৯) ও বর্ষা আক্তার (২০)।
গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পশ্চিম হাজীপুর এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা যায়, বন্দর থানার এসআই মো. শহিদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে মঙ্গলবার রাতে বিশেষ অভিযানে বের হন। এ সময় মাদক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী দ্বীন ইসলাম তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত দ্বীন ইসলামকে নিজ হেফাজতে নিয়ে থানার উদ্দেশ্য রওনা হওয়ার সময় গ্রেপ্তারকৃতরাসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১৫/২০ জন দুর্বৃত্ত পুলিশ উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি ভাংচুর করে এবং গ্রেপ্তারকৃত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী দ্বীন ইসলামকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে পুলিশের এক এসআই, দুই এএসআই ও দুই কনস্টেবল আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ নারীসহ ৪ হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, ছিনিয়ে নেয়া দ্বীন ইসলাম একজন মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় তারা হামলা চালায়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। হামলাকারী ৩ নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে উক্ত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।