বন্দরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ৩ নারীসহ একই পরিবারের ৫ জন জখম হয়েছে।
ওই সময় হামলাকারিরা বসত ঘর ভাংচুর করে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধ ন করে। আহতরা হলো তাসমিম (১৪) তানিয়া বেগম (৩৫) আফরোজা (২৮) তারেক (৩৫) ও বৃদ্ধা মানিক মিয়া (৫৮)।
স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আহত তারেক বাদী হয়ে গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও জীবনের নাম উল্লেখ্য করে ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে তারেক মিয়ার সাথে একই এলাকার মৃত আবু কালাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জায়গায় সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।
গত ১ মাস পূর্বে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিমগং জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নিরিহ মানিক মিয়ার রোপনকৃত অর্ধশতাধিক বিভিন্ন ফলের গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মানিক মিয়ার পরিবার পক্ষ থেকে তৎসময়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এর ধারাবাহিকতা গত সোমবার দুপুর ১টায় প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম ও একই এলাকার রুহুল আমিন মিয়ার ছেলে জীবনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মানিক মিয়ার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বসত ঘর ভাংচুর চালায়।
ওই সময় বৃদ্ধ মানিক মিয়া হামলাকারিদের বাধা দিলে ওই সময় প্রতিপক্ষ ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে।
ওই সময় মানিক মিয়ার চিৎকারের শব্দ পেয়ে নাতনি তাসমিম, পুত্রবধূ তানিয়া বেগম, মেয়ে আফরোজা বেগম ও ছেলে তারেক মিয়া বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় হামলাকারি ইব্রাহিম ও জীবনসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাদেরকে পিটিয়ে নিলাফুলা জখমসহ শ্লীতাহানি করে।
ওই সময় হামলাকারি ইব্রাহিম আহত আফরোজা বেগমের কাছ থেকে ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও অপর হামলাকারি জীবন আহত তারেকের পকেটে থাকা নগদ ৪ হাজার ২'শ টাকা ও ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।