কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দর উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের জনগন। উপজেলার দুই অঞ্চলে তীব্র শীত জেঁকে বসায় হতদরিদ্ররা শীতবস্ত্রের আশায় দিন গুনছে। প্রচন্ড ঠান্ডা কারনে দিনমজুরা কাজকর্মে বের হতে পারছে না। হাটবাজারে কমে গেছে মানুষের আনাগনা। এ ছাড়া উভয় অঞ্চলে শীতজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, প্রতিদিন ঘন কুয়াশার সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়া আর হালকা শিশির অব্যাহত থাকায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ছে। কনকনে ঠান্ডায় কাতর হয়ে পরছে হতদরিদ্ররা। শীত নিবারণে সরকারি সহায়তার আশায় দিন গুনছে ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের ঘারমোড়া এলাকার দিনমজুর খাইরুল পাশা জানান, দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর নারায়ণগঞ্জ। সকাল হলেই যে যার মত কাজে বের হয়ে পরে। কিন্তু শীতের তীব্রতা বের যাওয়ায় সবারই কাজকর্ম থমকে গেছে। কর্মজীবীরা সময় মত ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
শীতের তীব্রতা বের যাওয়ার কারনে রিমিমত গ্রামগঞ্জের হাটবাজার গুলোতে জনশূর্ন হয়ে পরেছে। শীতের কারনে চরম দুর্ভোগ্য রয়েছে শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ। এদের মধ্যে অনেকে গরম কাপড়ের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটচ্ছে । সরকারে সহায়তা আশায় রয়েছে তারা। এখন পর্যন্ত এ তীব্র শীতে সরকারি কোন সহায়তা পায়নি সাধারন জনগন।
এ ব্যাপারে উত্তররাঞ্চলের বাসিন্দা মিজান জানান, আমাদের এখানে সকালে সূর্যের দেখা মিলছে না। দিন দিন কমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। অতিরিক্ত শীত থাকার কারনে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধারা ঠান্ডা ও এজমা রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেছে।
তীব্র শীতের আগমনে শীতার্তদের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসছে না। বন্দর উপজেলার দক্ষিন অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষদের সাহায্যের্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের, জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বন্দর উপজেলার উভয় অঞ্চলের হতদরিদ্র জনসাধারন।