বন্দরে মদনপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল আউয়ালের সন্ত্রাসী দুই ছেলে রাকিব ও সাব্বির বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসী দুই সহদোরের অমানবিক অত্যাচারে দিন দিন চরম ভাবে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ গত ৫ আগষ্টের পর থেকে সন্ত্রাসী দুই সহদোর রাকিব ও সাব্বির রাতারাতি আওয়ামীলীগের জার্সি বদল করে কথিত বিএনপি নেতার ছত্র ছায়ায় বিএনপি ব্যানারে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। রাকিব ও সাব্বিরসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে উত্তরঞ্চল এলাকা অশান্ত হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী সাথে কথা বলে আরো জানাগেছে, গত ৫ আগষ্ট বিকেল ৫টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর দক্ষিনপাড়া এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আউয়াল মিয়ার সন্ত্রাসী ২ ছেলে রাকিব ও সাব্বির একই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীন মিয়ার দুই ছেলে ইসমাঈল ও ইব্রাহিম এবং একই এলাকার মৃত নুরু মিয়ার ছেলে আব্দুল হক ও মৃত তোতা মিয়ার ছেলে ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাত নামা আরো ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের গরু খামার থেকে গরু লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আর বদনাম হয়েছে বিএনপি। আওয়ামীলীগ সরকার পলায়নের পর উল্লেখিত আওয়ামীলীগের নেতার ছেলে বিএনপি সেঁজে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালামের গরু ফার্ম থেকে গরু লুট করে নিয়ে যায়।
সন্ত্রাসী রাকিব ও সাব্বির বিএনপির কথিত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে সে নব্য বিএনপি নেতা হয়ে আবারও এলাকায় লুটপাটের রাজ্য গড়ে তোলার স্বপ্নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী সন্ত্রাসী রাকিব ও সাব্বিরের বিভিন্ন অপকর্ম তদন্তপূর্বক আশু কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করছে।