বন্দরে গরু চুরি করে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে ১টি ট্রলারসহ ৩ গরু চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে । ওই সময় জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে প্রান রক্ষার্থে অপর একটি ট্রাল নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত নামা আরো ৪ গরু চোর।
আটককৃত চোরেরা হলো সুদূর মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার চরকাটারিয়া এলাকার নুরুল হক মন্ডল মিয়ার ছেলে আল মামুন মন্ডল (৪০) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার পুরজনা গ্রামের শেখ ফরিদ মিয়ার ছেলে জুয়েল (৩০) ও একই এলাকার মৃত অজিরাজ মিয়ার ছেলে বাদশা (৩২)।
আটককৃতদের বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানায় সোর্পদ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর ধলেরশ্বরী এলাকার তাজুল ইসলাম রানা ডেইরী ফার্মে এ চুরি ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ডায়েরি ফার্ম মালিক তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আটককৃত চোরদের বিরুদ্ধ বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ গরু ফার্মের মালিক তাজুল ইসলাম জানান, বন্দরে চর ধলেরশ্বরী এলাকায় গরু চুরি ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৬ মাসে উল্লেখিত এলাকা থেকে কমপক্ষে ৩০/৩৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরের দল।
এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে ৭/৮ জনের একটি চোরের দল ২টি ট্রলার যোগে শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে চর ধলেরশ্বরীস্থ তাজুল ইসলামের ডেইরী ফার্মে প্রবেশ করে।
পরে চোরের দল তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রেবশ করে উল্লেখিত ডেইরী ফার্ম থেকে ৪টি গরু চুরি করে ট্রলার যোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ১টি ট্রলারসহ ৩ চোরকে আটক করতে সক্ষম হলেও বাকি চোরের দল অপর একটি ট্রালার নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ছাড়াও গত ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে অজ্ঞাত নামা চোরের দল তাওলাদ মিয়ার গরুর খামার থেকে ৪টি গরু ও গত ৫ নভেম্বর রাতে একই এলাকা থেকে শারমীন বেগমের ২টি গরুসহ গত ৬ মাসে ৩০ থেকে ৩৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরের দল।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শাহাদাত হোসেন জানান, গরু চুরি ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।