বন্দরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় আসামি বন্দর উপজেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক বুলবুল এবং তার ভাই জাতীয় পার্টির নেতা হারুনুর অর রশিদ ও জামান মিয়ার নেতৃত্বে মো. শাহাদাত নামের এক যুবককে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় আহত যুবক মো. শাহাদাত বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শাহাদাত বন্দর থানাধীন আমিরাবাদ এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, বন্দর দাশেরগাঁও এলাকার জজ মিয়ার সন্তান হারুন আর রশিদ (৫৩), জামান মিয়া (৫০), মো. বুলবুল (৪৪), ও জাহানারা বেগম (৪৮) আমার প্রতিবেশী। তাদের সাথে আমার ক্রয়কৃত জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এরজের ধরে গত ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র সন্ত্র ও বাঁশের লাঠি, কাঠের ফালি, এবং লোহার রড় নিয়ে দাশেরগাঁও ষ্টার ফার্মের পিছনে পাকা রাস্তায় আমার পথ রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত থাকে।
আমি গালিগালাজ করিতে নিষেধ তারা এলোপাথারী ভাবে বাঁশের লাঠি, কাঠের ফালি দিয়ে আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো চাপাতি দিয়া আমার মাথায় কুপিয়ে আঘাত করে ও গলায় চেপে ধরে হত্যা চেষ্টা করে।
এসময়ে আমার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে আমার সাথে থাকা ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আমার মোবাইল ফোন ভাংচুর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানাগেছে, বন্দর উপজেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক বুলবুলের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলা রয়েছে। এবং তার ভাই জাতীয় পার্টির নেতা জামান মিয়া এখন বন্দর উপজেলা গতঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব বনে গেছেন।