বন্দরে অজানা অভিমানে হোসনে আরা (৩৩) নামের এক সন্তানের জননী সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রবিবার ভোর ৪টায় নাসিক ২২নং ওয়ার্ডস্থ আমিন আবাসিক এলাকাস্থ আফজাল মিয়া ভাড়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেছে। তবে নিহত নারীর সাথে কারো একাধিকবার কথোপকথন হতো বলে পারিবারিক সুত্রে জানা যায়।
পুলিশ সেই সুত্র ধরে ওই নারীর ফোনকল থেকে সদর থানাধীণ গোগনগর এলাকার আরিয়ান নামে এক যুবককের সাথে সম্পর্কের জের ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে জানা যায়।
আত্নহননকারী হোসনে আরা চাদপুর জেলার মতলব থানাধীণ কাশিপুর গ্রামের শফিকুল ওরফে ইউসুফ মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে সে ১ সন্তান নিয়ে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার আফজাল মিয়ার ১তলা ভাড়া বাড়িতে তার পিত্রালয়ে বসবাস করত । গত ৩বছর পূর্বে তার স্বামীর সাথে ভিফোর্স হয়েছে বলে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়,বিগত ৫বছর পূর্বে বন্দর কদমরসুল কলেজ সংলঘ্ন মাঠপাড়া এলাকায় শফিকুল ওরফে ইউসুফ মিয়ার মেয়ে হোসনে আরার সাথে একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে ইমরানের বিয়ে হয় ও ১টি সন্তানেরও জন্ম হয়। পরে পারিবারিক কলহের কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
গত জুন মাসে পিতা-মাতার সাথে হোসনে আরা তার সন্তানকে নিয়ে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় আফজাল মিয়ার বিল্ডিংয়ের ১তলা ভাড়া নেয়। এরপর থেকেই আরিয়ান নামে এক ছেেেলর সাথে প্রায় সময়ই মোবাইলে কথা বলত বলে তার পিতা শফিকুল মিয়া জানায়।
রবিবার ভোর ৪টায় সকলের অগোচরে হোসনে আরা তার নিজ ঘরে ৪ বছরের ছেলেকে ঘুমে রেখে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করে। এ সময় সন্তানের কান্না শুনে পরিবারের লোকজন ঘরের সিটকনী ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে।
পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বন্দর ফাড়ীর পুলিশ পরিদর্শক নাহিদ মাসুম জানান,খবর পেয়ে রবিবার বিকেলে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এক যুবককে সন্দেহ মুলকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে। তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।