![বিএনপির আশ্রয়ে দাপুটে অবস্থানে আওয়ামী লীগ নেতা ডালিম! বিএনপির আশ্রয়ে দাপুটে অবস্থানে আওয়ামী লীগ নেতা ডালিম!](https://www.narayanganjtimes.com/media/imgAll/2021May/07-2502162033.jpg)
আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়েও স্বপদে বহাল রয়েছেন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে ফাইজুল হক ডালিম।
গত ৫ই আগস্টের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে যখন আওয়ামী লীগের নেতারা পলাতক রয়েছেন তখন স্থানীয় বিএনপি কয়েকজন নেতার আশ্রয়ে তিনি এখনো নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। যা নিয়ে ক্ষোভ কাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে।
একে ফজলুল হক ডালিম বর্তমানে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হোন। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আরেক আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন।
তার আগে, এই ইউনিয়নে ডালিমের বাবা একেএম ফজলুল হক আওয়ামী লীগের সময় টানা চারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। এদিকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার আগে ফাইজুল ইসলাম ডালিম আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর অনুসারী ছিলেন।
পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এমপি বাবু তাকে সমর্থন না দিলে সে তখন শামীম ওসমানের অনুসারী হোন। তবে পরে দিয়ে বাবুর সঙ্গে যোগসাজশ হয় তার। এর ফলে সারাদেশে যখন আওয়ামী লীগের অবস্থা শোচনীয় তখন দাপটের সঙ্গে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন একে ফাইজুল হক ডালিম।
এ কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তার সাপোর্টে কালাপাহাড়িয়াতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। সেই সঙ্গে তার মাধ্যমে সাবেক এমপি বাবু এখনো আড়াইহাজারের প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালামত চৌধুরী, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক ও কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আবু কালামের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থনে ফাইজুল হক ডালিম এখনো নিজের শক্তি ধরে রাখতে পেরেছেন। এদিকে গুটিকয়েকজন বিএনপির নেতার কারণে দলের বদনাম হচ্ছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফাইজুল হক ডালিমের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি এর ৩-৪ গুণ বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জন্ম নিবন্ধনে সরকারি ফি ৫০ টাকা হলেও তিনি নেন ৪০০ টাকা, ওয়ারিশের সনদের জন্য নেন ১ হাজার ৫০০-২ হাজার টাকা। ট্রেড লাইসেন্স করার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মূল্য থেকে ৩-৪ গুণ বেশি টাকা নেন।
আওয়ামীলীগের বড় নেতা হয়েও স্বপদে তিনি চেয়্যারম্যানের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে কাজ করছে ক্ষোভ। ডালিম চেয়ারম্যান একসময় নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করলেও নির্বাচনে শামীম ওসমানের কথায় প্রশাসন তখন তার পক্ষে কাজ করে।
চেয়ারম্যান হওয়ার পরে তিনি এলাকাতে আওয়ামীলীগের রাজত্ব কায়েম করেন। যা এখন চলমান রয়েছে। তাই এই মুহুর্তে তিনি এখনো কিভাবে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।