আড়াইহাজারে ডাকাতির চেষ্টার সময় গণপিটুনিতে বিল্লাল (৪৫) নামের এক ডাকাত নিহত এবং তার সহযোগী লাভলী (২৫) নামে এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কাহেন্দী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত ডাকাত বিল্লালের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। আহত লাভলীকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত বিল্লাল হোসেন হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দি গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। অন্যদিকে পিটুনির শিকার নারী লাভলীও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত লাভলী জানান, তিনি ডাকাতির সাথে জড়িত নন। তাঁর দাবি, পেশায় তিনি যৌনকর্মী। ঘটনার সময় খদ্দেরের সঙ্গে ওই এলাকায় ছিলেন। লোকজনের চিৎকারে ভয় পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় লোকজন ডাকাত সন্দেহে তাঁকে মারধর করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কাহেন্দী গ্রামের বাসিন্দা জাকিরের বাড়িতে ডাকাতি করতে আসে বিল্লাল এবং তার সহযোগী লাভলীসহ ১০ /১২ জনের একটি ডাকাতদল তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জাকিরের বাড়ি ঘেরাও করে।
পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে কাহেন্দী গ্রামে জাকির হোসেনের বাড়ির পাশে বিল্লালসহ ১০-১২ জন অপরিচিত লোকের উপস্থিতি টের পান এলাকাবাসী।
এ সময় গ্রামের লোকজন ধাওয়া দিলে দৌড়ে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও বিল্লাল ও ওই নারীকে আটক করে গ্রামবাসীর পিটুনি দেয়। গ্রামবাসীর পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই বিল্লাল মারা যান।
এদিকে পিটুনি থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে ওই নারী পাশের একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। পরে গ্রামের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ ওই নারীকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, নিহত বিল্লালের বিরুদ্ধে খুন ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে। তবে আটক নারী ডাকাত কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে।