শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর, বিকাল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং হোসিয়ারী সমিতিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন শেষে হোসিয়ারী সমিতিতে শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলিতে উপস্থিত থাকবেন, শহীদ পরিবার, গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যাক্তি বর্গ এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন ও মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের বুকে চেপে বসা স্বৈরাচার সরকার বিদায় নিয়েছে। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী সরকার মানুষের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম করেছিলো। স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উৎখাতে জীবন দিয়েছে ৭ শতাধিক ছাত্র-জনতা। ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশে যেনো আর কোন দিন স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম না হতে পারে, তার জন্য সাংবিধানিক সংস্কারসহ দেশে আমূল-পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় মানুষ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে। তার জন্য দরকার নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।
যৌথ বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫৫ জন শহীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। এবং ৬০০ জনের অধিক আহত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে আহ্বান জানাই, কেবল আর্থিক সহযোগিতা নয় শহীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নিতে হবে। তার জন্য চাই শহীদ স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ। অতিদ্রুত শহীদ স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করুন।