যুব-নেতৃত্বাধীন অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চেঞ্জ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন পেশাজীবি ও সিনিয়র সিটিজেন ব্যক্তিবর্গদের সাথে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা শীর্ষক মুক্ত আলোচনার আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকাল-৫ টায় দাপা ইদ্রাকপুরে রঙধনু কমিউনিটি সেন্টারে এই আয়োজন করা হয়।
ব্যতিক্রম এই আয়োজনে সিনিয়র সিটিজেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষানুরাগী, শিক্ষক, ডাক্তার, সাংবাদিক, প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠক, আইনজীবী, ব্যাংকার, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চেঞ্জ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক তালুকদার আবদুল্লাহ আল ফারুক রিংকু। তিনি বলেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের অগ্রগতি, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়াকে বুঝায়।
আর সেটা প্রান্তিক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের উপর বর্তায়। তাই চেঞ্জ ফাউন্ডেশন মনে করে এর শুরুর দাবিদার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ দিয়েই সূচনা হোক। তাই আমরা তথা অত্র এলাকার মেধাবী, দক্ষ, পেশাজীবি জনগোষ্ঠী মনে করি আমাদের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন।
তিনি বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি চারটি, যথা-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি। তারপর এগুলোর উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা তুলে ধরা হয়।
চেঞ্জ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত অতিথিদের সামনে স্মার্ট ইউনিয়ন গঠনের জন্য সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন সংগঠনের স্বেচ্ছা শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও নাঃগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য এইচ এম মাহবুবুল হক ফোরকান।
চেঞ্জ ফাউন্ডেশন এর সাধারন সম্পাদক মোঃ আশরাফুল হক আশুর প্রানবন্ত সঞ্চালনায় বিভিন্ন পেশাজীবীদের কাছ থেকে বক্তব্য নেওয়া হয়। এক একে সিনিয়র সিটিজেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠক, শিক্ষানুরাগী, শিক্ষক, সমাজকর্মীবৃন্দ আলোচনা রাখেন।
আলোচকবৃন্দ এধরণের অনুষ্ঠানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন আমরা বিশ্বাস করি, ইউনিয়ন থেকে যদি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কাজ শুরু করা হয় তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।
বক্তারা বলেন এই অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকার প্রয়োজন ছিল।চেঞ্জ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য অনুরোধ করে ফাউন্ডেশনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত শিক্ষানুরাগী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ ফরিদ আহমেদ লিটন, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আলহাজ মোবারক হোসেন, সিনিয়র সিটিজেন আলহাজ নুরুল ইসলাম,বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার ফখরউদ্দিন ও মোঃ মোফাজ্জল, মেম্বার আব্দুল বাতেন ও কাজী মাইনুদ্দিন, ডাক্তার সাদিয়া আফরিন, স্কুল প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন শিকদার, ইউনিয়ন সমাজসেবা কর্মকর্তা তাওলাদ হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের এস.আই মোঃ জামাল হোসেন, প্রয়াত চেয়ারম্যান খন্দকার লুতফর রহমান স্বপনের সহধর্মিণী সেলিনা সুলতানা শিউলী, আইনজীবী মোঃ মোরশেদুল ইসলাম খুরশেদ ও মোঃ রিফাত, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম সুমন, সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন, পেশাজীবী সংগঠক নাছির উদ্দিন, ফায়জুল করিম লাভলু, মীর মোঃ নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আলহাজ নুরুল ইসলাম, আলফাজ উদ্দিন পাঠান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা শেখ তানভীর ইমাম লিও ও কামরুল হাসান বিপু, সমাজকর্মী মোস্তাক আহমেদ, ব্যাংকার মোহাম্মদ আলী বাবু, ব্যবসায়ী কামাল হোসেন, এন.জি.ও প্রতিনিধি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সামাজিক সংগঠক মীর মোঃ ফরহাদ হোসেন, জিহাদ হাসান, ফাহিম চৌধুরী, আশরাফুল ইসলাম তৌকির, এস.এম সানী, ছাত্র ইয়াছিন তৌফিক, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আখলাকুর রহমান শিমুল, শহীদুল ইসলাম মুন্সী, সামসুল হোসেন, আসাদুল প্রমুখ।
চেঞ্জ ফাউন্ডেশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মোঃ আবু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আল আমিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন জুম্মন, দপ্তর সম্পাদক মাওঃ সাব্বির আহমেদ তুহিন, নির্বাহী সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম তুষার, মোঃ রমজান আলী ও রনি শিকদার, সদস্য মোঃ আরিফুর রহমান, মোঃ আল-আমিন মাহাদী, হাফেজ আহকার আবদুল্লাহ, মোঃ সাঈদ হাসান দোলন ও মোঃ রাজু আহমেদ।
চেঞ্জ ফাউন্ডেশনের ব্যাতিক্রমি এই আয়োজনের এসোসিয়েট পার্টনার ছিল মিতালী ঋণদান ও সঞ্চয় সমবায় সমিতি। ভেন্যু স্পন্সর করে রংধনু কমিউনিটি সেন্টার। লজিস্টিক সাপোর্টে ছিল দি চাষাড়া বুক হাউস এবং অনলাইন মিডিয়া কভারেজ করে ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টাল চেঞ্জ নিউজ।