দুই হাজার একুশ সালের একটি আলোচনা। নারায়নগঞ্জের সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়ে নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক বল্লেন ছোটবেলা শীতলক্ষ্যা নদীর গল্প শুনেছি! ডি সি সাহেবকে গল্প নয়!
একটি বাস্তব ঘটনা শুনানোর ইচ্ছেটি দমন করতে পারলামনা! তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের বৃহত্তম বানিজ্য কেন্দ্র প্রাচুর্যের ড্যান্ডীখ্যাত নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেটের হিন্দু মুসলিম তথা সর্ব স্তরের ব্যবসায়ীরা সকাল বেলা দোকান খুলে কর্মচারীকে দিয়ে শীতলক্ষ্যা থেকে পানি আনিয়ে সে পানি দিয়ে ক্যাশবাক্স মুছতেন, এবং দোকানে ছিটিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পবিত্র করতেন!!
আর বর্তমানে শীতলক্ষ্যার পাড়ে পাঁচ মিনিট কোন ভদ্রলোক দাড়িয়ে থাকলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে!! কতটা চরম অবনতি ঘটানো হয়েছে শীতলক্ষ্য নদীটির, এখন বিষয়টি আপনি দয়াকরে বিবেচনা করে দেখবেন নারায়নগঞ্জবাসীর কতটা উন্নতি হয়ছে!!
ইতিমধ্যে অনেকে আশার বানী শুনিয়েছেন কাজের কাজ কতটুকু হয়েছে তা একমাত্র ভূক্তভোগীরাই হারে হারে টের পাচ্ছেন!! বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্যযুক্ত পানি প্রতিনিয়তই ফেলা হচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদীতে! সেই সঙ্গে শহরের ড্রেনের নোংড়া আর্বজনা গড়াচ্ছে প্রতি দিন শীতলক্ষ্যায়!!
ঢাকার চারপাশের নদীগুলী নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকার পর ও দীর্ঘ সময়ে কোন কার্য্যকরি ভূমিকা গ্রহনে ব্যর্থ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ!! নূতন ভাবে বিষয়টি নিয়ে কার্য্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করা সময়ের দাবী বলে আমরা মনেকরি।
উন্নয়নের প্রদীপের নিচে এই চরম অন্ধকার আর কত দিন জনজীবনকে দূর্বিসহ করবে? আমরা আশা করি বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে বুড়িগঙ্গা তুরাগসহ শীতলক্ষ্যাকে আর্বজনা মুক্ত করে জনজীবন রক্ষা করার দায়ীত্ত সরকার কি এড়িয়ে যেতে পারেন?