বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র প্রয়াত সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী’র স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে রবিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ’র সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিনের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার, দপ্তর সম্পাদক আবু বকর, ডিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দীপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ’র সাধারণ সম্পাদক একেএম মাহফুজুর রহমান, বিএফইউজের কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন বারী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন প্রমুখ।
বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন বলেছেন, রুহুল আমিন গাজী ভাই ছিলেন অবিসংবাদিত একজন নেতা। পট পরিবর্তনের আগে ৪ আগস্ট রুহুল আমিন গাজী ভাই বিশাল মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। নেতৃত্বের দিক থেকে তিনি এক নম্বর ছিলেন। গত কয়েক যুগেও কেউ তার সমান হতে পারেনি।
রুহুল আমিন গাজীর মত নেতা পেতে আমাদের বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকার অবৈধভাবে গাজী ভাইকে ১৭ মাস কারাবন্দী করে রেখেছিলো। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, গাজী ভাই জেলে যাওয়ার পূর্বে উনার একটা কিডনি অপারেশন করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে উনার কিডনিতে ইনফেকশন ধরা পড়ে।
ডাক্তার বলেছিলো, ইনফেকশন হয়েছে, তবে ঠিক কি অবস্থায় আছে তা এখন বলা যাচ্ছেনা। আপনাকে প্রতিমাসে একবার চেকআপ করাতে হবে। এর কিছুদিন পরই স্বৈরাচারী সরকার তাকে গ্রেফতার করে ১৭ মাস জেলে বন্দী রাখে। তখন আমরা অনেকভাবে চেষ্টা করেছি তাকে যাতে চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হয়, এমনকি তার টেস্ট করানোরও চেষ্টা করেছি আমরা, কিন্তু স্বৈরাচারের দোসররা তা মানেনি।
ফলে এই ইনফেকশন থেকে একসময় তাঁর ক্যান্সার হয়, পরবর্তীতে যা তার পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি ছাড়া পেলেও স্বৈরাচারী সরকার অবৈধভাবে কারাবন্দী করে তিলে তিলে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। তদন্ত কমিশন করে এই মৃত্যুর পিছনে দায়ীদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শত শত ছাত্র-যুবক-তরুণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে আমরা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবো বলে ভেবেছিলাম। দেশের একজন সর্বোচ্চ সম্মাণিত ব্যক্তি আমাদের দেশের নেতৃত্বে এসেছেন এবং আছেন। কোন সেক্টরের সাথে কি ধরনের আচরণ করা হচ্ছে তা আমি জানি না। তবে, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের সাংবাদিক সমাজের সাথে, পুরো সাংবাদিক কমিউনিটির সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে।
একইকাজ করেছিলো, স্বৈরশাসক এরশাদ, তিনিও সাংবাদিক সমাজকে দমাতে চেয়েছিলো। কিন্তু সাংবাদিক সমাজ যখন রাজপথে নেমেছিলো, এরশাদ সরকার তখন আর টিকতে পারে নাই। একইভাবে, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগও বলেছিলো, ২০৪০ সালে দেখা হবে। সমস্ত রাজণৈতিক দলগুলোর নেতাদের যখন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো, তখন প্রেস ক্লাবের সামনে বুক চিতিয়ে দিয়েছিলো সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকদের উপরও হামলা করা হয়েছিলো, কিন্তু সাংবাদিকরা পিছপা হননি, তাদের দমাতে পারেনি। আর দমাতে পারেনি বলেই, সাংবাদিক সমাজের উপর সবচেয়ে বেশী ক্ষোভ ছিলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের।
সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যদি এখন কোনো রাজনৈতিক দল ঘটায়, তাহলে মনে করবেন না শুধু নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা এখানে আছে, শুধু প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সেক্রেটারী, সদস্যরা এখানে আছে, বরং বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক সমাজ আপনাদের সাথে আছে। পুরো সাংবাদিক সমাজ আপনাদের সাথে লড়াই করবে এটা আমি ঘোষণা দিয়ে গেলাম।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে হামলাকারীদের হুশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি হোক, জামায়াতের হোক, যে দলের সন্ত্রাসীরাই প্রেস ক্লাবে এসে হানা দিবে, তাদেরকে আমরা ছেড়ে দিবো না। আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা তাদের দড়ি দিয়ে বেধে এখানে ঝুলিয়ে রাখবেন। আমরা আসবো তারপর তাদের বিচার হবে।
গত ১৫ বছর খেলা হবে, খেলা হবে বলে, নারায়ণগঞ্জে রাজত্বকারী স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর, শামীম ওসমানকেও যে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব পাত্তা দেয়নি, সেই প্রেস ক্লাবে এসে কোনো সন্ত্রাসী হানা দিবে এবং তারা সুস্থভাবে ফিরে যাবে তা আমরাও ভাবতে পারিনি।
বলে যাচ্ছি, আপনারা কিন্তু বেঁচে গেছেন, পরবর্তীতে যদি আসেন, আপনারা কিন্তু কেউ বাঁচবেন না। আমরা এখানে চাই, আমরা আসবো, তারপর তাদের বিচার হবে। সেই বিচারের ভার পর্যন্ত আমাদের সুযোগ দিয়েন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভেবেছিলাম পটপরিবর্তিত সরকার সহযোগিতা করে বন্ধ মিডিয়া গুলো খুলে দিবে কিন্তু এটা কি দেখছি, এখনো বন্ধ মিডিয়া গুলো খুলে দেওয়া হয়নি। অনেক সাংবাদিকদের এটার সঙ্গে রুজি রোজগারের সর্ম্পক, অনেক সাংবাদিক ভাই আছে তারা অভিজ্ঞ হয়েও চাকরী পায়নি।
অনেক জায়গায় এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে, এখনো চাকরী করছে, এরা কিভাবে বিভিন্ন চ্যানেলে নেতৃত্ব দিচ্ছে এটা আমাদের কাছে অবাক লাগে। আমরা আপনারের সময় বেধে দিতে চাই না, তবে এটুকু বলতে চাই অবিলম্বে ফ্যাসিসদেরকে সরিয়ে দেন। আমাদের বন্ধ মিডিয়া গুলো উদ্ধার করার জন্য, নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা যা করনীয় আমরা তা করব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক বিষয় নিয়ে এখানে এসেছি। রুহুল আমিন গাজী ভাই সাংবাদিকদের অবিসাংবাদিত নেতা ছিলেন। তাকে দীর্ঘদিন আমি কাছে পেয়েছি, কাছ থেকে দেখেছি। অত্যন্ত তৎপর একজন নেতা হিসেবে তাকে আমরা পেয়েছি।
অত্যন্ত ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ১৭ মাস কারাবন্দী করে রাখা হয়েছিলো। এভাবে কারাগারে আবদ্ধ রেখে উনাকে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছিলো। দেশপ্রেমিক রাজনীতিবীদদের কে জুডিসিয়াল কিলিং করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে চাপে রেখেছিলো।
বিএফইউজে দপ্তর সম্পাদক আবু বকর বলেন, গাজী ভাই ব্যক্তিগত ভাবে শুধু নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে তিনি একটি সম্পদ। জুলাই বিপ্লব ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে স্মরণ করতে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করবে বলে বিশ^াস করি।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি কিছুদিন আগে, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, এর জন্য আমরা বিএফইউজে’র পক্ষ থেকে নিন্দা জানাচ্ছি। যারা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে হামলা করেছিলো, তারা যদি সাংবাদিক হয়ে থাকে, তাহলে এখানকার গঠনতন্ত্র মেনে সদস্য হতেই পারে। সেটা না করে তারা যে কাজ করেছে, এর জন্য আমরা বিএফইউজে’র পক্ষ থেকে নিন্দা জানাচ্ছি।
ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইন বলেন, গাজী ভাই সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে দিনের পর দিন করা যাবে। রুহুল আমিন গাজীর মতো সাংবাদিক নেতা বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আর নেই। যতদিন সংবাদপত্র থাকবে, ততদিন তার নাম বহাল থাকবে।
বিগত স্বৈরাচারী সরকার এদেশের সাংবাদিক সমাজকে, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে বন্দী করে রেখেছিলো। আমাদের সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ ভাইকে ১৩ টি মামলা দেয়া হয়েছে। অন্যান্য উপজেলা, জেলাসহ সারা দেশে একই চিত্র দেখা গেছে।
বিএফইউজে নির্বাহী সদস্য আবু হানিফ বলেন, আমরা এমন একজন সাংবাদিক নেতাকে হারিয়েছে, যিনি গত ৪৮ বছর সাংবাদিকদের রুটি রুজির জন্য রাজপথে ও লিখনিতে ছিলেন। স্বৈরাচারের দোসররা গুলি চালিয়েছিলো, তখনও তিনি পিছপা হন নাই। বহু সাংবাদিক নেতাকে দেখেছি স্বার্থের জন্য আতাত করেছেন। কিন্তু তিনি কখনো আপোষ করেন নি।
বিএফইউজে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন বারী বলেন, রুহুল আমিন গাজী ভাই অবিসাংবাদিত নেতা। কারা নির্যাতিত নেতা। সাংবাদিকদের ঐক্য চাই, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী ঐক্যের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে আবু সাউদ মাসুদ বলেন, রুহুল আমিন গাজী ভাই আমাদের অন্ধকারের বাতি ছিলেন, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিলেন, আপন মানুষ ছিলেন, তাকে হারিয়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের সকল সাংবাদিক আজ বড় অসহায় হয়ে পড়েছে। তার মতো আপন করে আর কোনো সাংবাদিক নেতা আমাদেরকে ডাকবে না।
বিএফইউজে’র বর্তমান নেতৃবৃন্দের সকলেই অত্যন্ত বলিষ্ঠ এবং সৎ মানুষ। নেতৃত্বে অযোগ্যতা আমাদের কেন্দ্রীয় সাংবাদিক ইউনিয়নে (বিএফইউজে) নেই, তবে গাজী ভাইয়ের তুলনা গাজী ভাই নিজেই। সারা বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক একত্রিত হলেও তার অভাব পুরণ করা সম্ভব নয় বলে আমি বিশ^াস করি। তার মতো নেতৃত্ব, দুঃসময়ে পাশে দাড়ানোর মতো মানুষ আমরা খুব কম দেখেছি।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি আরিফ আলম দীপু বলেন, রুহুল আমিন গাজী ভাই সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায়। তার সাথে আমার পরিচয় আশির দশকের শেষ দিকে। যখন তিনি দৈনিক সংগ্রামে ছিলেন। তিনি এমন একজন মানুষ, কাছে গেলে বুঝা যায়, যে কোনো লোককে তিনি সহজেই আপন করে নিতেন।
সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তার যে ভুমিকা তা অবিস্মরণীয়। তার মতো সাংবাদিক নেতা, বাংলাদেশে আর আসবে না। আমি মনে করি, তিনি একটি ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডকে আপনারা সবসময় স্মরণ করবেন, আপনাদের বুকে রাখবেন এবং সাংবাদিকদের মাঝে তার কথা আপনারা তুলে ধরবেন।
প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন বলেন, বাংলাদেশটা গত ১৭ বছর সকল মানুষের জন্য কারাগার ছিলো। একটা কথা বলা হয়ে থাকে, ভৌগলিক স্বাধীণতা, কোনো স্বাধীণতা নয়। একটা জেলখানার মধ্যেই ছিলাম, নানান কায়দা-কানুনের মধ্যে চলতে হয়েছে সবাইকে। আমার দেশ পত্রিকা, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টেলিভিশনসহ অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়েছে।
যারা সামান্য বিরোধীতা করতো, যারা গঠনমূলক সমালোচনা করতো তাদেরকেই বন্ধ করা হয়েছে। গাজী ভাই সম্পর্কে বলবো, আসলে এই সময়েও গাজী ভাইকে খুব বেশী প্রয়োজন ছিলো। কেননা, সারা পৃথিবীতে সম্মাণিত ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবের মতো একজন নেতা পেয়েও আমরা কিন্তু স্বস্তিতে নাই।
নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা চলছেই, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে আমেরিকায় ট্রাম্প জয় পাওয়ার পর থেকে এটা যেন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, ব্যাপক ষড়যন্ত্র চলছে। গাজী ভাইয়ের উত্তরসূরী হিসেবে অতন্ত্র প্রহরীর মতো ভুমিকা রাখার আহবান জানাচ্ছি।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, উনি এতো তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন এটা আমরা ভাবিনি। তিনি আমাদের মাঝে নেই, এটা ভাবতেই কষ্ট লাগছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও নেতৃবৃন্দ এখানে আসায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন বলেন, গাজী ভাইয়ের মতো অবিসাংবাদিত নেতা নারায়ণগঞ্জে আর তৈরি হবে কিনা তা কেউ জানেনা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সহ-সভাপতি নাহিদ আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোশতাক আহমেদ শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর কামাল, কার্যনির্বাহী সদস্য শরীফ সুমন, নজরুল ইসলাম বাবুল, নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আহসান সাদিক শাওন, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান জুয়েল, কার্যকরী পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, আফজাল হোসেন পন্টি, প্রেস ক্লাব স্থায়ী সদস্য নাফিজ আশরাফ, রফিকুল ইসলাম রফিক, প্রণব কৃষ্ণ রায়, হাসান উল রাকিব প্রমুখ।