সব মৌসুমেই পেঁপে সহজলভ্য। ছোট বড় সবাই এই পুষ্টিকর ফলটি পছন্দ করে। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না, পাকা পেঁপে খালি পেটে খাওয়া উচিত কি-না? অবশ্যই পাকা পেঁপে খালি পেটে খেলে বেশি মাত্রায় পুষ্টি মেলে। বিকেলের পর আবার পেঁপে খেতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা।
পেঁপেতে আছে ভিটামিন এ, সি, কে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও প্রোটিন। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও রয়েছে। আর পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। সেই সঙ্গে স্বাদেও মিষ্টি হওয়ায়র কারণে ডায়াবেটিস রোগীদেরকেও প্রতিদিন এক বাটি করে পাকা পেঁপে খেতে দেয়া হয়।
এছাড়াও অনেকে হজমের সমস্যায় ভোগেন। তাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হতে পারে না। তাই তাদের প্রতিদিন পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও পাকা পেঁপে শরীরকে নানা দিক দিয়ে সুস্থ রাখে। যেমন-
> নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে। পেঁপের মধ্যে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এছাড়াও ভিটামিন এ, সি, ই ইত্যাদি, যা কোলেস্টেরল কমায়। যার ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে।
>সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে প্রতিদিন পাকা পেঁপে খেলে চোখের বিভিন্ন সমস্যা অনেকটাই কমে। পেঁপের মধ্যে থাকা ভিটামিনই এর কারণ।
>পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়। সেই সঙ্গে খিদেও বাড়ায়। আর পেট পরিষ্কার করে। পেট পরিষ্কার হলেই খিদে বাড়বে। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যাও কমে। এমনকি যাদের অর্শ্ব রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রেও খুব ভালো কাজ করে পেঁপে। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে গেলেই শরীর থাকবে সুস্থ।
>পেঁপেতে কোনো ক্যালোরি নেই। আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তারা খুব ভালো ফল পাবেন যদি প্রতিদিন একবাটি করে পাকা পেঁপে খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলেই অন্যান্য রোগের সম্ভাবনাও কমে যায়।
>পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
> চুলের জন্যও পেঁপে খুব উপকারী। যে কারণে পেঁপে মেশানো শ্যাম্পুর প্রচলন বেশি। এছাড়াও টক দইয়ের সঙ্গে পেঁপে মিশিয়ে চুলে মাখলে গোড়া শক্ত হয়।
> পেঁপের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর তাই পেঁপে যদি প্রতিদিন মুখে মাখা যায় তাহলে মুখের লাবণ্য বজায় থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের দাগ, ছোপ ও ব্রণ দূর হয়।