বয়স বাড়লেই ত্বকে কারণেই নয়, বিভিন্ন অভ্যাসের কারণেও বলিরেখা পড়তে পারে। বয়সের সঙ্গে চেহারা ও ত্বকে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক।
তবে কারও ক্ষেত্রে এই ছাপ বয়সের আগেই দৃশ্যমান হয়ে যায়। আবার অনেকেই যত্নের মাধ্যমে ধরে রাখতে পারেন বয়সকে। এজন্য যা যা করণীয় জেনে নিন-
সানব্লক জরুরি
ত্বকে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনে সূর্যালোক। অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে দেখা দেয় বলিরেখা ও বয়সের ছাপ। সানস্ক্রিন কেবল গরমকালেই নয় এটা নিয়মিত রূপচর্চার অংশ হিসেবে সঙ্গী করা উচিত।
আর্দ্রতা রক্ষা
ত্বক অনেকটা আঙ্গুরের মতো। ত্বক যখন আর্দ্র থাকে তখন তা টানটান ও সতেজ লাগে। অন্যদিকে আর্দ্রতার অভাবে তা শুষ্ক ও নির্জীব লাগে, এটা ত্বকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ত্বকে বিশেষত, চোখের চারপাশে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এতে ত্বক সতেজ থাকে। হ্যালরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারে ত্বকে পানির অণুগুলোকে আকর্ষণ করে ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।
চিনিজাতীয় খাবারকে না বলুন
খেতে মজাদার হলেও চিনি ত্বকের জন্য মোটেও বন্ধুসুলভ নয়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ওজন বাড়ায়, ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ ফেলে। চিনি গ্লাইকেশন প্রক্রিয়ার কারণে কোলাজেন ও ইলাস্টেইনকে আবদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলে ফলে। সহজেই দেখা দেয় বয়সের ছাপ ও বলিরেখা।
ঘুমানোর ধরন
পাকস্থলির দিকে চাপ দিয়ে অথবা মুখে বালিশের চাপ পড়ে এমনভাবে দীর্ঘদিন ঘুমালে মুখে আড়াআড়িভাবে ভাঁজ দেখা দিতে পারে। এই পরিবর্তন এক রাতে বোঝা না গেলেও ধীরে ধীরে তা প্রকাশ পায়। তাই ঘুমানোর সময় উপুর হয়ে শোয়া বাদ দেয়া উচিত। বালিশের কভার হিসেবে সিল্ক বা স্যাটিনের কাপড় বেছে নেয়া উচিত, এতে ত্বকের ক্ষতি কম হবে।
ঘুমের অভাব
ঘুম কম হলে চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে দিনের চাপ কমানোর চক্রে বিঘ্ন ঘটে। সুন্দর ত্বকের জন্য ‘বিউটি স্লিপ’ প্রয়োজন।
ত্বক বেশি ঘষবেন না
মেইকআপ করার বা তোলার সময় বা অন্য কোনো কারণে ত্বক, বিশেষ করে চোখের চারপাশে চাপ প্রয়োগ করা হলে তা ভাঁজের সৃষ্টি করে। তাই মেইকআপ করা বা তোলার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত। আর ত্বকের প্রতি কোমল আচরণ করা আবশ্যক।