
রূপগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় ইব্রাহিম (৫৩) এর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে আসামিকে হাজির করে ১০দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলেও আদালত শুনানি শেষে ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রূপগঞ্জ থানা মামলা নং - ৩০(৩)২৫।
রিমান্ডকৃত আসামির মো. ইব্রাহিমকে (৫৩)। সে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মেরুয়াখলার জয়নগর মাযাইর এলাকার মৃত আব্দুল মোতালিব মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার রূপসী বাগানবাড়ি এলাকায় রুবেল’র বাড়ির ভাড়াটিয়া।
মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নারায়ণগঞ্জ জেলা নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা সেলের সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ.এম আনোয়ার প্রধান ও এড. আসমা হেলেন বিথি এবং মহানগর সেলের সদস্য জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হুমায়ন কবির ও এড. সামসুন নূর বাঁধন। এছাড়াও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাত বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় আসামি ইব্রাহিমকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, আমরা পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনী সহায়তা দেওয়ায় জন্য প্রস্তুত রয়েছি। কেউ যদি এধরনের বৈঞ্চনার শিকার হন তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা বিনা পয়সায় সামাজিক ও আইনি সহযোগিতা করবো।
এদিকে আসামি পক্ষের জনৈক আইনজীবী পিটিশন দাখিল করলেও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ রূপগঞ্জে আলোচিত সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় আসামি ইব্রাহিমকে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার জয়নগর মাযাইর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব-১১।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় তথ্যটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ সদর দফতরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (স্কোয়াড কমান্ডার) মো.শামসুর রহমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার রূপসি বাঘবাড়ি এলাকায় চকলেট কিনে দেবার কথা বলে নিজ দোকানের ভেতরে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ইব্রাহিম সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসী রাত নয়টা থেকে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে রাত ১১টায় রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম এবং জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলামসহ থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
পরে তারা শিশুটিকে উদ্ধার করলে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য রাতেই পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ১৪ মার্চ (শুক্রবার) ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার বাদী হয়ে ইব্রাহিমকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়।