নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খাঁন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত মমিনুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।
এদিকে ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়ার খবরে আদালতপাড়ায় আনন্দ মিছিল করেছেন জাকির খাঁনের কর্মী ও সমর্থকরা।
আর মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই জাকির খাঁনের কর্মী ও সমর্থকেরা আদালতপাড়ায় জড়ো হতে থেকে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খাঁনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৩৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে ৩০টি মামলায় ইতিমধ্যে খালাস পেয়েছিলেন জাকির খান।বাকি তিনটি মামলার মধ্যে দুটিতে জামিনে আছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের ব্যাবসায়ী নেতা সাব্বির হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর তার মুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এড. খন্দকার আজিজুল হক হান্টু বলেন, ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে খালাস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এই হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বহিষ্কৃত বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক সাংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭জনের নামে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।
আর ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলাটি সবশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্ত করে। সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।
ওই চার্জসীটে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল ও শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান ও মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়।