সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা ৪টি হত্যা মামলায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
এছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নতুন দুটি মামলায় গোলাম দস্তগীর গাজীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহসিন‘র আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা চার হত্যা মামলায় ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহসিন আদালতে শুনানি শেষে প্রতি মামলায় দুদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিকে রবিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নতুন দুটি মামলায় রিমান্ডের আবেদন করে সাবেক মন্ত্রী গাজীকে আদালতে আনে পুলিশ। পরবর্তীতে শুনানি শেষে রিমান্ড নামঞ্জুর করে গাজীকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন কাজী আহমেদুল্লাহ আহাদ ও মো. জুয়েল মিয়া। একটি মামলায় সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী সহ ৪১ জনের নাম এবং অপর মামলায় ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাত রাখা হয়েছে আরও ১ হাজার জনকে।
সিদ্ধিরগঞ্জের ওই ২টি মামলা সাবেক মন্ত্রী গাজী ছাড়াও আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরি ওসমান, গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা গাজী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়াসহ অনেকে।
একটি মামলার এজহারে বলা হয়, ২১ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় মামলার আসামিরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র জনতার উপর হামলা ও গুলি বর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন জুয়েল মিয়া।
অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ২১ জুলাই সানারপাড় এলাকায় বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসামিরা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে গুলি করে। এতে আহত হন মামলার বাদী কাজী আহমেদুল্লাহ আহাদ।