বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে আবুল হাসান সজন নামে এক যুবক গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলায় সাবেক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানে শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাসেল, নাসিকের প্যানেল মেয়র আব্দুল করিম বাবু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৮নং ওয়ার্ডকাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল, এডভোকেট মহসিন, সুজিত সাহা, শামীম ওসমানের পুতরা মিনহাজুল বিকি, ফয়সাল, নির্জন দাস, লিটন সাহা, কোরবান, টিপু সুলতান, রামু সাহা, খান মাসুদ, বান্টি, বাপ্পি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ রিফাত, নাছির, শ্যামল, অহিদুজ্জামান অহিদ, ফয়সাল শুভ, সহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
নিহত আবুল হাসান সজনের ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে শনিবার (১৭ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বাদী অনিক উল্লেখ করেন-সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ মন্ত্রীর নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া দিতে থাকেন ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকেন। এসময় মিশনপাড়া এলাকায় ছাত্র জনতার অবস্থানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় অয়ন ওসমানের গুলিতে আহত হন আবুল হাসান সজনসহ অনেকে। আহত অবস্থায় সজনকে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগষ্ট মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।