চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় আলীটেকের আব্দুল কাদিরের পুত্র প্রতারক জুলকার নাইন ওরফে নাঈমকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২১ লাখ টাকা অর্থ দন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
জুলকার নাইন ২১ লাখ টাকা হাওলাদ হিসাবে হাবিবুর রহমান বাদলের কাছ থেকে নেন। পরবর্তিতে উক্ত টাকা জুলকার নাইন চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করার লক্ষ্যে ২১ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করে।
দীর্ঘদিন জুলকার নাইন টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে হাবিবুর রহমান বাদল চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅর্নার হয়। পরবর্তিতে হাবিবুর রহমান বাদল আদালতের স্বরনাপন্ন হন।
তিনি ২১ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে (বর্তমান ঠিকনা) ফতুল্লার মাসদাইর বাজারের ৯৪ শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার সড়কের (ইনডেক্স নূর ভিলা) বসবাসকারী জুলকার নাইনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে আদালতে ন্যায় বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন মামলাটির বিচারকার্য শেষে নারায়ণগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ এসএম মাসুদ জামানের প্রথম আদালত জুলকার নাইনকে দোষী সাবস্ত করে ১ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২১ লাথ টাকা অর্থ দন্ডের আদেশ প্রদান করেন।
রায় প্রদানকালে প্রতারক জুলকার নাইন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে জুলকার নাইন পলাতক রয়েছে। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. খোকন সাহা এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. ওয়াজেদ আলী খোকন।