সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর সিদ্ধিরগঞ্জে ৮নং ওয়ার্ডে বিজয়ী প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থীর লোকজনের উপর হামলা, মারধর, হুমকি-ধামকি অব্যাহত রয়েছে। দিন-রাত বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন মহড়া দিচ্ছে। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আইনশৃংখলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী লোকজন ছাড়াও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগি ও এলাকাবাসীর তথ্যমতে, ১৬ জানুয়ারি ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রুহুল আমিন মোল্লার বিজয়ী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার লোকজন প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর চড়াও হয় তারা।
এক পর্যায়ে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার চিহ্নিত লোকজন আমিন ভুইয়া, নজরুল ভুইয়া, রুবেল, আক্কাছ বাহিনী, মাদক সম্রাট ফারুক, দেলোয়ারের নেতৃত্বে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা সন্ত্রাসী, উঠতি বয়সি যুবক ও কিশোরগ্যায়ের সদস্যরা বিভিন্নভাবে রুহুল আমিন মোল্লার নির্বাচনে প্রতিপক্ষদের নানা ভাবে হুমকি, মারধর, বাড়ি ঘরে হামলাসহ নানা কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।
নির্বাচনের ফলাফলের পরে এনায়েত নগরে বিজয় মিছিল থেকে রাশেদ নামে এক যুবকের উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে আমিন ভুইয়ার লোকজন। সৈয়দপাড়া নুর ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়, জানালার গ্লাস ভাংচুর করে।
এসময় নুর ইসলামের শত বছরের বৃদ্ধ মা সন্ত্রাসী হামলার আতংকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর ২০ জানুয়ারি মারা যান। নুর ইসলামের দাবি তার শতবর্ষী মা ভয়ে আতংকে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
সৈয়দ পাড়ায় গ্লামার গ্লো নামে একটি বিউটি পার্লারের মালিক মিম আক্তার রুহুল আমিন মোল্লার নির্বাচন না করায় তার দোকান এখান থেকে উঠিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে আমিন ভুইয়া, নজরুল ভুইয়া, রুবেলসহ তার লোকজন। তারা এখানে বিরিয়ানির দোকান দিবে বলে জানায়।
তাঁতখানা এলাকায় জব্বারের ছেলে বিষু, জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ভুইয়াপাড়া আদর্শ বাজারে আমিন ভুইয়া ও তার লোকজন হাশেমের চায়ের দোকান ও কাশেমের মাংসের দোকানে হামলা চালিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয় আমিন ভুইয়া ও তার লোকজন। একইদিন ভুইয়াপাড়া বটতলায় মো. নোয়াব আলীকে মারধর করে কাশেম মেম্বারের ছেলে মাদক সম্রাট ফারুক ও তালেব আলীর ছেলে দেলোয়ার
শনিবার (২২ জানুয়ারি) হাজি গনি মুন্সি (মৃতদেহ সৎকার করে) কে মারধর করতে যায়। বলে তোর কারণে ৩০০ ভোট কম পেয়েছে রুহুল মোল্লা। এক পর্যায়ে চেয়ার তুলে তাকে মারতে গেলে উপস্থিত লোকজনের মধ্যস্থায় পরিবেশ শান্ত হয়।
নাম না প্রকাশের শর্তে ভুক্তভোগীরা জানায় তারা এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করারও সাহস পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও সংযোগ পাওয়f যায়নি।
এদিকে সচেতন মহলের দাবি এদেরকে যদি এখনই প্রতিহত না করা যায় তাহলে এলাকারা সার্বিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিবে।