নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তার নিজ দলের এমপিকে গডফাদার বলেছেন। বিষয়টি তাদের দলের নিজস্ব ব্যাপার। যেখানে আমি জড়িত সেখানে আমার বক্তব্য স্পষ্ট।
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী তিনবার বলেছে তৈমূর জেতার মত ক্যান্ডিডেট। সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমি বলি প্রধানমন্ত্রীও নারায়ণগঞ্জের ভোটার হলে আমাকেই ভোট দিতেন। জনগনের সাথে আমার সম্পৃক্ততাকে তিনি মূল্যায়ন করতেন।
আমাকে যদি রাস্তার একটা ভিখারি সমর্থন দেয় সেটা আমি মাথা পেতে নেব। সরকারি দলের মধ্যে যে আত্মকোন্দল বিবাদ মুখোমুখি অবস্থান এতে আমার লস কী। সবাই এগিয়ে আসছে। তারা কী ট্যাক্স দেয় না, তারা কী পানি খায় না।
রাজনীতি পরের বিষয় আগে এটা আমাদের নিজস্ব এলাকা এটা নিজের শহর। সংখ্যালঘু বলতে আমি কিছু বুঝি না সকলে বাংলাদেশের নাগরিক। তবে মসজিদ মন্দিরের জায়গা দখল হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জবাসীর একটা অভিযোগ আছে।
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের ১২ নং ওয়ার্ডের মিশনপাড়ায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আইভী আজ নির্বাচন না করলে তিনি আমার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক হতেন। এখন নির্বাচনের মাঠে তিনি নিজে দলের ব্যাপারে আরও কথা বলেছেন। তিনি শুধু সরকারি দলকে বিতর্কিত করেননি তিনি আমার নেত্রীকেও অপমান করেছেন।
তিনি বলেছেন দুই নেত্রী দেশকে ধ্বংস করেছে। এই দুই নেত্রীকেও তিনি ছাড় দেননি, আমাকে কী ছাড় দিবেন। সাবেক মেয়র হিসেবে তার নিজ বক্তব্যে আরও সাবলীল ও সাবধান হওয়া উচিত।
তৈমূর বলেন, আমি নির্বাচন নিয়ে শংকিত। আমি কোন দলের ব্যানারে দাঁড়াইনি। আমাকে মানুষ দলমত নির্বিশেষে সমর্থন দিচ্ছে। পত্রিকায় আপনারা দেখেছেন জাতীয় পার্টি বিএনপি সহ অনেকেই আমার সাথে ছিলেন। কাল রাতে ধামগড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে।
ট্রাকে ট্রাকে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে হুমকী দেয়া হচ্ছে নৌকার নির্বাচন করার জন্য। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভয়ে মরে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর এই নীতিতে অটল থাকবে। স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় প্রতীকে করায় মানুষ অভ্যস্ত না। এখানে নির্বাচনটা হচ্ছে নাসিকের ব্যর্থতা ও ঠিকাদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এখনও সেই ঠিকাদাররা নির্বাচন করছে।
তিনি আরো বলেন, আমার সাথে সকলে আছে। তারা সুপেয় পানি চায়, তারা জলাবদ্ধতা মুক্ত শহর চায়। তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। ঢাকার নেতাদের চিন্তা বাদ দেয়া উচিত। রাজনীতিতে বাস্তবতা এবং জনগনের চাহিদা বিবেচনা করে রাজনীতির মাঠে থাকতে হবে।