নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

০৬ অক্টোবর ২০২৪

কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচন

ভোটারদের কাঠগড়ায় বাদশা-রফিক 

প্রকাশিত:১৯:৩০, ২৩ জুন ২০২৪

ভোটারদের কাঠগড়ায় বাদশা-রফিক 

আগামী ২৬ জুন রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে পাড়া মহল্লায় চায়ের দোকান থেকে সর্বত্র উৎসবমূখর পরিবেশ করছে। তবে এ আমেজে কিছু ভাটা পড়েছে গত কয়েকদিনের ঘটে যাওয়া হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায়।

কাঞ্চন পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী হিসেবে দুই জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এরা হলেন, মোবাইল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা ও জগ প্রতীকে  রফিকুল ইসলাম রফিক। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই মেয়র প্রার্থী এবং প্রার্থীর সমর্থকরা গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরছেন। সব মিলিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো পৌর এলাকা। কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪০ হাজার ৭৯৮। আবুল বাশার বাদশাকে ঠেকাতে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। 

স্থানীয় ভোটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত সময়ে কাঞ্চন ইউনিয়ন পরিষদ থাকাকালীন সময়ে একবার চেয়ারম্যান হিসেবে ও পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর একবার মেয়র হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন আবুল বাশার বাদশা। তার দ্বারা কারো জমি-জমা দখল বা বালু ভরাট করার মতো ঘটনা নেই।

এছাড়া কারো কোন ধরনের ক্ষতিও হয়নি। যার ফলে আবারো কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র হিসেবে আবুল বাশার বাদশাকে বিজয়ী করতে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কাঞ্চনের সন্তান পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, মাসকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ সবুরসহ স্থানীয় শিল্পপতি, সুশিল সমাজ ও সাধারন মানুষ আবুল বাশার বাদশাকে বিজয়ী করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। 


অপর দিকে, আবুল বাশার বাদশাকে ঠেকাতে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিকও তার নিজের মতো করে তার লোকজন নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। , গত ৫ বছর কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র দায়িত্ব পালন করাকালে বিভিন্ন বিয়ে ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সময় দেয়া ও আর্থিক সহযোগীতা করায় রফিকুল ইসলাম রফিকের সুনাম রয়েছে।

তবে, মেয়র হওয়ার পর রফিকের ভাই সাইফুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম মোঘল, নজরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম সফিক বেপরোয়া হয়ে উঠেন। পৌর এলাকার অনেক সাধারন মানুষের জমি-জমা জোরপুর্বক দখল ও জালজালিয়াতি করে আত্বসাত করার মতো ঘটনা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার মতোও ঘটনা রয়েছে। এসব কারনে রফিকুল ইসলাম রফিকের ভরাডুবির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। 

এ ব্যাপারে কথা হয় মোবাইল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল বাশার বাদশার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমার দ্বারা পৌরবাসীর কখনও ক্ষতি হয়নি। আমাকে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ মন থেকে ভালোবাসে।

তবে, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় এবং জনপ্রিয়তা দেখে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আমার প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম নানা ধরনের প্রভাগান্ডা ছড়াচ্ছে। 

অপরদিকে, জগ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করতে বহিরাগতরা ভোটারদের মাঝে কালো টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনছেন। নির্বাচনের দিন বহিরাহতরা থাকলে বিশৃংখলার চেষ্টা করবে। পৌরবাসী আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে বলে আমি আশা রাখছি। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা গ-সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের দিন কাঞ্চন পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন পক্ষ কোন প্রকার ঝামেলার সৃষ্টি করলে ছাড় দেয়া হবেনা। 

সম্পর্কিত বিষয়: