আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগ সমর্থিত ভাবে সাইফুল ইসলাম স্বপনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করায় কারণ দর্শানোর পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ।
তিনি জানান, একজন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হয়ে কোন ভাবেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন। কারন দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে। উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি জনাব সাঈদুর রহমান, সহকারী শিক্ষক, ২৫নং চৈতনকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আড়াইহাজার উপজেলার নির্বাচনী এলাকার জন্য পোলিং অফিসার(ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা) হিসেবে গত ১০ এপ্রিল অর্ধদিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে আপনি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে বাছাইকৃত প্যানেলের একজন সদস্য।
কিন্তু প্যানেলভুক্ত পোলিং অফিসার হয়েও আগামী ২১ মে ২০২৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জনাব সাইফুল ইসলাম এর “ঘোড়া” প্রতীকের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা চালাচ্ছেন (কপি সংযুক্ত) এবং “ঘোড়া” প্রতিকের পক্ষে ভোট কামরা করছেন, যা একজন সরকারি কর্মচারী ও প্যানেলভুক্ত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হয়ে কোন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া অথবা সরকারি পদমর্যাদার অপব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২, ধারা-৮৬)।
নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নিরপেক্ষ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত আচরণ প্রদর্শন আপনার নিকট থেকে কাম্য। কোনো ব্যাক্তি (ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের কোনো ধারা বা অন্য কোন আইন বিধি ( বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারীকৃত বিধিমালা সহ) লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী দন্ডিত হবেন।
উক্ত বিষয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২, উপজেলা পরিষদ আইন,১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ২৪নং আইন), উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩; উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬; নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর উপধারা ৫ এর (১,২,৩ ও ৪) ও বাংলাদেশের অন্যান্য আইন ও বিধি দ্বারা সংরক্ষিত।
নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ আরও জানান, অব্যাহতি ছাড়া ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।