বন্দর উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসব আমেজ লক্ষ করা গেছে। কে হবে আগামী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ নিয়ে সর্বত্র স্থানে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।
আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থীর পদে ৩ জন প্রার্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য রাত দিন ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছে।
প্রার্থীরা হলেন- বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ ( দোয়াত কলম) উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল ( চিংড়ি মাছ) ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ (আনারশ)। সে সাথে মাকসুদের ছেলে শুভ রয়েছে ড্যামি প্রার্থী ( হেলিকাপ্টার) প্রতিকে।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রাথী অংশ গ্রহন করছেন এরা হলেন জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি সানাউল্ল্যাহ সানু (উড়োজাহাজ) মুকিত (তালা) আলমগীর হোসেন (মাইক) ও এসআই জুয়েল ( টিউবওয়েল)। একই সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থী অংশ গ্রহন করছে এরা হলেন এডঃ মাহামুদা (কলস) ও সালিমা হোসেন শান্তা ( ফুটবল) প্রতিকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। সকাল ৯টা হইতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা হলো ১লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা হলো ৬৭ হাজার ৫০০ জন ও মহিলা ভোটার সংখ্যা হলো ৬৪ হাজার ৬২ জন। আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন ব্যাপক প্রস্তুিত গ্রহন করেছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে আরো জানাগেছে, বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট ব্যাংক হিসেবে কলাগাছিয়া ইউনিয়নকে বিবেচিত করা হয়। এই ইউনিয়নের ভোটাররা যাকে বেশী সর্মথন করবে সে প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৮০ শতাংশ।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১৬টি ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা হলো ৪০ হাজার ৮৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা হলো ২০ হাজার ৯২০ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা হলো ১৯ হাজার ৯৪৩ জন।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ১২টি ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা হলো ২৭ হাজার ২৮ ভোট। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা হলো ১৩ হাজার ৭০৬ ভোট ও নারী ভোটার সংখ্যা হলো ১৩ হাজার ৩২০ জন।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯টি ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা হলো ২৩ হাজার ৪২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা হলো ১২ হাজার ১৪৪ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা হলো ১১ হাজার ২৭৬ জন।
ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৯টি ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা হলো ২২ হাজার ৯৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা হলো ১১ হাজার ৭৮৬ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা হলো ১১ হাজার ১৭৬ জন।
এ ছাড়াও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮টি ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা হলো ১৭ হাজার ২৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা হলো ৮ হাজার ৯৪৪ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা হলো ৮ হাজার ৩৪৭ জন।
সরজমিন ঘুরে ও ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, প্রার্থীদের নির্বাচনীয় পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা বন্দর উপজেলা। চলছে শেষ মহুর্তের প্রচারনা।
চিংড়ি মাছ প্রতিকে আতাউর রহমান মুকুল ও আনারশ প্রতিকে মাকসুদ ও দোয়াত কলম প্রতিক প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদকে ভোটারদের বাড়ি বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।
ঘারমোড়া এলাকার ভোটার আনোয়ার হোসেন বলেন, আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল তার হারানো চেয়ার পুনরুদ্ধারের জন্য মাঠে নেমেছে। দলমত নির্বিশেষে সকলে তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে বলে আমি আশাবাদী।
আলীনগর এলাকার বাসিন্দা তাজুল ইসলাম বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ ভাই আমাদের প্রার্থী। কলাগাছিয়া ইউনিয়নসহ ৫টি ইউনিয়নে তিনি ব্যাপক ভোট পেয়ে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হবেন বলে আশা প্রকাশ করছি ।
মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা পিয়ার আলী বলেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বাসী আনারশ প্রতিককে নির্বাচিত করার জন্য সকলে এখানে এক জোট হয়েছে। অন্য ইউনিয়নে মাকসুদ সাহেবের অবস্থান কি তা এখনো জানি না। আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।