কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হলো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন।
শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মাঝে দিনব্যাপী কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা। তবে ২০ শতাংশের বেশী ভোট পড়েছে বলে দাবি প্রার্থীদের।
নির্বাচনে অটোরিকশা প্রতীকে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল ইসলাম, চশমা প্রতীকে মোঃ আমজাদ, মোটর সাইকেল প্রতীকে পরেশ চন্দ্র, আনারস প্রতীকে সাইফুল ইসলাম রুবেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারাশিদ বিন এনাম জানান, দিনব্যাপী কোন ধরনের সমস্যা আমাদের নজরে আসেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিনা কারণে ঘোরাঘুরি করায় একজনকে আটক করার পর তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে এর আগে দীর্ঘ ৩ দশক ধরে চেয়ারম্যান ছিলেন নূর হোসেন। তার প্রয়াণের পর ২০১১ সালের ১৬ মে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন।
দীর্ঘ ৩০ বছর পর ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান স্বপন চেয়ারম্যান। এতে এ পদটি শুন্য হলে শুন্যপদে ৯ মার্চ উপ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করাহয়।
৩ দশমিক ৬১ বর্গমাইল আয়তনের ১০টি মৌজায় ১১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত ফতুল্লা ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৩৩ জন।
এছাড়া ও শিল্পসমৃদ্ধ নগরী হিসেবে খ্যাত ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কার্যালয়।