আপাতত ফুরফুরা মেজাজে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের দুই সন্তান এ কে এম সেলিম ওসমান ও এ কে এম শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) ও নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে তারা বর্তমান সংসদ সদস্য। একজন আওয়ামীলীগের আরেকজন জাতীয় পাটি থেকে নির্বাচিত। এবারও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এবং সেলিম ওসমান জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ধরেই নেয়া যায় দুই আসনে দুইভাই প্রতিদ্বন্দ্বিহীন। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ার মতো কোন প্রার্থী এই দুটি আসনে নেই।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে শামীম ওসমান ছাড়াও মাঠে রয়েছেন আরও ৮ প্রার্থী। তারা হলেন, মো: সৈয়দ হোসেন (সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ), মো: আলী হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মো: মূরাদ হোসেন জামাল (জাকের পার্টি), মো: ছালাউদ্দিন খোকা (জাতীয় পার্টি), মো: সেলিম আহমেদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো. হাবিবুর রহমান (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো: শহীদ উন নবী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), গোলাম মোর্শেদ রনি (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
এই আসনের বেশ কয়েকজন ভোটারদের বক্তব্য হচ্ছে, যারা এখন মাঠে রয়েছেন শামীম ওসমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো প্রার্থী এখানে নাই। আবার
মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহেরর শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর দেখা যাবে কেউ কেউ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তখন হয়তো দেখা যাবে শামীম ওসমান কোন প্রকার গণসংযোগ বা প্রচারণা ছ্ড়াাই বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে সেলিম ওসমান ছাড়াও আরও ৪ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন, এএমএম একরামুল হক (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোর্শেদ হাসান (জাকের পার্টি), মো. আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূইয়া (তৃণমূল বিএনপি), ছামসুল ইসলাম (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)। এখানে সেলিম ওসমান জাতীয় পাটি থেকে নির্বাচন করলেও অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় অত্যন্ত হেভিওয়েট প্রার্থী। কারণ আওয়ামীলীগ এখানে কাউকে দেয়নি। সেক্ষেত্রে মহাজোট ঠিক থাকলে আগের মতো আওয়ামীলীগের ভোটও সেলিম ওসমানের বাক্সে যাবে। ফলে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পথে সেলিম ওসমান এবং চতুর্থবারের মতো শামীম ওসমান।
প্রসঙ্গত: ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শামীম ওসমান। ২০০১ সালে আসনটি বিএনপির গিয়াস উদ্দিনের দখলে চলে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সারাহ বেগম কবরী বিজয়ী হয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পর পর দুইবারের নির্বাচনে শামীম ওসমান এখানকার বর্তমান সংসস সদস্য।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পাটির এ কে এম নাসিম ওসমান। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল তার মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন এ কে এম সেলিম ওসমান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও মহাজোটের প্রার্থী হিসে সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।