দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, তৃনমুল বিএনপি ও অন্যান্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছেন, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ )আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার, জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ- (শহর-বন্দর) আসনে জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমান।
মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এবং সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১০ জন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ৬ জন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১৩ জন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১১ জন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ৫ জন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মোঃ ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কোন প্রার্থী আচরণ বিধি লংঙ্গন করলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এবং আচরণ বিধি লংঙনের ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রার নিয়োগ দেয়া আছে। এরপর যদি কোন কিছু আমাদের কাছে আসে আমরা ব্যবস্থা নিব। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন কঠোর।
প্রসঙ্গত: ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ৫০ হাজার ৬৯১ জন। গত ৫ বছরে ভোটার বেড়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯ জন। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৮২টি। ভোট কক্ষ ৪ হাজার ৯৮৩টি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ভোটকেন্দ্র ১২১টি ও ভোট কক্ষ বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭টি।