১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচনে বিজয়ী করতে সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও জাপার বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা মাঠে নেমেছেন। এতে দুপক্ষের অস্তিত্বের লড়াই শুরু হয়েছে।
জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থিত সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম হাতি (প্রতিক) এবং জাপার বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল তালা (প্রতিক) নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের ভোট লড়াই করবেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার না হলেও মাঠে প্রভাব বিস্তারে তৎপর রয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। ভোটাররা স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ধাপের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এদের অনেকেই নানাভাবে তাদের সবার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা শুরু করছেন।
সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার পছন্দের প্রার্থী আবু নাঈম ইকবাল তালা (প্রতিকে) ভোট দিতে নানা ধরনের চাপ দেয়ার অভিযোগও উঠছে। করছেন নানা ধরনের সভা-সমাবেশ। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে।
এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জেলা পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডটি ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে অবস্থিত। তবে পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ থাকায় এবার ১০টি ইউনিয়নের ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি নিয়ে ভোট গ্রহন হবে।
তবে ৮টি ইউনিয়ন ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে ভোটে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। যার কারণে সোনারগাঁও উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের ৯০ ভাগ জনপ্রতিনিধিই আওয়ামীলীগের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত ২-৩ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কয়েকজন মেম্বার ছাড়া আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের হাতি (প্রতিক) পক্ষে মাঠে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না।
তবে জাপার মনোনীত প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ, আবু নাইম ইকবাল এলাকায় চিহ্নিত ‘বালু সন্ত্রাসী’ হিসেবে পরিচিত।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সে একটি সিন্ডিকেট করে কৃষকদের প্রায় দেড় হাজার বিঘা ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এতে চারদিকে মেঘনা নদী বেষ্টিত নুনেরটেকসহ আশপাশের ১০টি গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়েছে। এ অবৈধ বালুর টাকা দিয়েই জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে ভোট কেনার চেষ্টা চালাচ্ছেন আবু নাঈম ইকবাল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবু নাঈম ইকবাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব কিছু ষড়যন্ত্রমূলক। আমাকে নির্বাচনে পরাজিত করতেই বিরোধী প্রার্থীর লোকরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সব বাধা পেরিয়ে জনপ্রতিনিধিরা আমাকে ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত করবে।
এদিকে ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল।