নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পাঁচপীর দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের ওপর ইউপি সদস্য ও তাদের সমর্থকরা হামলা করেছেন।
এসময় প্রিজাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলামকে প্রচন্ড মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য প্রার্থী আল মাহবুব ও তার ভাতিজা রাজুকে আটক করেছে পুলিশ।
এসময় পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত দশজন আহত হন। পুলিশ ২৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে আহত প্রিজাইডিং অফিসারকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বুধবার বিকেলে ওই কেন্দ্রে নির্বাচনের ভোট গননা শেষে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত প্রিজাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ২ হাজার ৯ শত ৬৪ ভোট রয়েছে। ভোট গননার সময় দুই হাজার তিন’শ ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বলে প্রিজাইডিং অফিসার ঘোষণা দেন। পরে ফলাফল ঘোষণার সময় মাত্র ১২ শ' ভোটের হিসাব দেখিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ভোট কেন্দ্র থেকে চলে আসতে চাইলে এ নিয়ে মেম্বার প্রার্থীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে মেম্বার প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা একত্রিত হয়ে পুনরায় ভোট গননার দাবি জানিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলামের উপর হামলা করে তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মেম্বারপ্রার্থীসহ আটককৃত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।