নারায়ণগঞ্জে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কর্মজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহীন আল মামুনের বিরুদ্ধে।
‘সিএনএন বাংলা’ আইপি টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পরিচয় দিয়ে তিনি এই কাজগুলো করে আসছেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত তিনি।
ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিয়াজ নিহতের ঘটনায় গত ২৩ অক্টোবর শামীম ওসমানকে প্রধান আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত রিয়াজের স্ত্রী ফারজানা বেগম। এই মামলায় শাহীন আল মামুনকে ১৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। হত্যা মামলা দায়েরের পরও তার প্রতারণা থামে নি।
এ নিয়ে এতোদিন কেউ ভয়ে মুখ না খুললেও সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে সবাই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এর আগে গত ৭ এপ্রিল চেক জালিয়াতির মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জের আটি বউবাজার ওয়াপদা কলোনী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
প্রতারক শাহীন আল মামুন সিদ্ধিরগঞ্জের ওয়াপদা কলোনী এলাকার মৃত কাঞ্চন মাস্টারের ছেলে।
জানা যায়, ঢাকা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৩টি চেক জালিয়াতির মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন শাহিন আল মামুন। এর মধ্যে একটি মামলায় সে ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
বন্দর স্টিল মিলসের মালিক রুবেল বলেন, পুরাতন লোহা দেওয়ার কথা বলে ৫০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিন্তু লোহা না বুঝিয়ে না দিয়ে আমার সঙ্গে নানাভাবে তালবাহানা শুরু করে। মতিঝিল থানায় এই বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সিএনএন বাংলা টিভির ডিরেক্টর বানানোর কথা বলে তিনি আমার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা নেন। এই বিষয়ে আমি কোর্টে মামলা করেছি।
পাশাপাশি সিএনএন বাংলা টিভির ডিরেক্টর বানাবে এই কথা বলে আহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসানের কাছ থেকেও সোয়া ১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া পুরাতন লোহা সরবরাহ করা হবে বলে কেরানীগঞ্জসহ চিটাগাংরোডের বিভিন্ন পার্টি থেকে ৮০ লাখ, দেড় কোটি টাকাসহ এভাবে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, প্রতারণার বিষয়ে থানায় অভিযোগ হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, তদন্তসাপেক্ষে এজাহারনামীয় আসামি গ্রেফতার কার্যক্রম চলামান রয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।