নারায়গঞ্জের ফতুল্লার লালপুর পৌষাপুকুর পাড়, টাগারপাড়সহ আশপাশ এলাকার মূর্তিমান আতংকের নাম রিয়াজ উদ্দিন বাবু ওরফে কিলার বাবু (৩৫)। ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, লুটতরাজ জবর-দখলসহ সমাজ বিরোধী নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্ম দিয়ে স্থানীয়বাসীদের জীবন যাত্রাকে করে তুলেছে অসহনীয় যন্ত্রণাময়। মূর্তিমান আতংক কিলার বাবুর জিম্মিদশা থেকে জেলার আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবী করেছে স্থানীয় সকল শ্রেনীর পেশার মানুষ।
রিয়াজ উদ্দিন বাবু ওরফে কিলার বাবু লালপুর পৌষার পুকুরপাড়ের মৃত হাফিজউদ্দিনের পুত্র।
তিনি সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ফতুল্লার পঞ্চবটী এলাকা থেকে চাঁদাবাজী মামলায় গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারের ২০-২৫ দিনের মধ্যে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠে চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে। কিলার বাবুর রয়েছে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনীর সকলেই মাদকাসক্ত। কিলার বাবু নিজেও মাদক সেবী। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী।
স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে, কিলার বাবু একটি বাহিনী গড়ে তুলে লালপুর, পৌষাপুকুরপাড়, টাগারপাড়সহ আশপাশ এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের জন্ম দিয়ে স্থানীয়বাসীর জীবন-যাত্রাকে করে তুলেছিলো অসহনীয় যন্ত্রণাময়। শীর্ষস্থানীয় এই চাঁদাবাজ এক নারীকে হত্যার করার পর কিলার বাবু নামে এলাকায় পরিচিত হয়।
কিলার বাবু নামে পরিচিতি লাভের পর সে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কের পঞ্চবটী বন বিভাগ থেকে লোহার মার্কেট পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের জন্য গড়ে তুলেছিলো বিশাল এক বাহিনী যা সে সময় নাউড়া বা ন্যাড়া বাহিনী নামে পরচিতি লাভ করেছিলো।
ভাগ- বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে এই বাহনীর সদস্যদের হাতে খুন হয় রুবেল ওরফে কুত্তা রুবেল। এরপর এই বাহিনী আর বেশী দিন টিকেনি। পরবর্তীতে কিলার বাবু লালপুর, পৌষাপুকুর পাড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে গড়ে তুলে নিজস্ব একটি বাহিনী
২০১৫ সালের ১ জুন ফতুল্লার ডি,আই,টি মাঠে প্রকাশ্যে দিবালোকে ফরহাদ নামক এক যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করার চেস্টা করে কিলার বাবুসহ অপর সন্ত্রাসীরা। এ সময় স্থানীয় মহলে আতংক ছড়াতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকাঁ গুলিও ছুড়ে আলোচনা আসে কিলার বাবু।