সারাদেশের ন্যায় জেলাজুড়ে চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নারায়ণগঞ্জের টানবাজার ঘাট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা ওয়াকওয়েতে (হাঁটার পথ) চলছে আড্ডাবাজি। বিধিনিষেধ থাকলেও ঘোরাঘুরিতে যেন নেই মানা। লকডাউনের বিন্দুমাত্র রেস নেই।
সোমবার (১২ জুলাই) বিকালে সেন্ট্রাল খেয়া ঘাট থেকে টানবাজার ২ নং ঘাট পর্যন্ত ওয়াকওয়েতে দেখা যায় মানুষে ছড়াছড়ি। সকলেই নদীর তীরে বসে অবসর সময় কাটাচ্ছে। তাদের অধিকাংশ পথচারীদের মুখে নেই মাস্ক। করোনার ভয়াবহতা ভুলে নদীর তীরের নির্মল বাতাসে গল্পের আসর বসিয়েছে। কেউ কেউ আবার সেখানেই বসে খাচ্ছে মৌসুমি ফল কাঁঠাল।
ওয়াকওয়ে কাছাকাছি যেতেই দেখা গেল মধ্যবয়সী কয়েকজন উচ্চ শব্দে হৈচৈ করছে। একটু সামনে যেতেই কাঁঠাল কেটে খাচ্ছে তারা। করোনা পরিস্থিতিতে এভাবে বাহিরে কেন সময় কাটাচ্ছে এই প্রশ্নে তাদের মধ্যে একজন বলেন, কিসের লকডাউন, সবাই তো বাহিরে ঘুরতাছে। কাঁঠাল আনছি, বইসা বইসা খাইতাছি। করোনা ভয়ে কয়দিন আর বাসায় থাকব।
মাস্কবিহীন একদল তরুণের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তারা বলেন, সারাদিন ঘরে থাকতে ভালো লাগে না। মাস্ক নিয়ে বের হতে ভুলে গেছি। পথচারী টানবাজারের বাসিন্দা রুহুল আমীন বলেন, করোনা বাড়তাছে। কিন্তু এই এলাকার মানুষের মধ্যে এই বোধ নাই।
সারাদিন এই জায়গায় আড্ডা চলে। বিকালে এত মানুষ হয়, যে চলাচলের জায়গা থাকে না। মাস্ক ছাড়াই ঘোরাঘুরি করে। ওয়াকওয়ে রাত হলেই মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। এই দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া প্রয়োজন।