নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে দেয়ালে দেয়াল সাঁটানো হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টার। রাতের আধারে শহরের সরকারি তোলারাম কলেজে বাহিরে দেয়ালগুলোতে, চাষাড়া বিভিন্ন স্থান, সরকারি মহিলা কলেজের সামনে, এমনকি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সাঁটানো হয়েছে এসব পোস্টার।
এদিকে হঠাৎ করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপন আবির্ভাবের খবরে ক্ষুব্ধ নারায়ণগঞ্জ মানুষজন। তারা বলছেন, ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু তাদের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। সুযোগ বুঝে তারা উপস্থিত জানা দিচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ও ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা জানান, নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পরেও ছয় মাস পাড়ি দিয়েও যখন হত্যাকারীদের বিচার হয় না তখন তারা এভাবেই নিজেদের ঔদ্ধত্যের জানান দেয়ার সুযোগ পায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমানে সভাপতি প্রার্থী আতা ই রাব্বী চৌধুরী জানান, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ রাতের আধারে পোস্টার টানানোর মাধ্যমে জানান দিচ্ছে এটা তারাই করবে, কারণ তারা রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে। এখন দিনে পালিয়ে থাকে রাতে উপস্থিত জানান দেয়। প্রশাসন আরো সক্রিয় হলে ছাত্রলীগ ব্যাকফুটেই থাকবে। ছাত্রলীগের জুলুম-নির্যাতন মানুষ কখনো ভুলবে না। তারা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করলে মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
ছাত্র শিবিরের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমিন জানান, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাতের আধারে শহরে পোস্টার টানানোর মাধ্যমে জানান দেয়া সুযোগ পেয়েছে প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে। আমি মনে করে, এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসন বিভিন্নস্থানে ঘাপটি মেরে আছে। তাদের চিহ্নিত করা দরকার। বিগত সময়ে আমরা বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি অথচ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এখন রাতের অন্ধকারে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয় এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে পালিয়ে যায় নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান। একইসাথে গা ঢাকা দেয় নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।