বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা এবং সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে প্রত্যেক বছর পুন:ভর্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে শনিবার, যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনা বলেন, “শিক্ষা মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম একটি অংশ এবং রাষ্ট্রের প্রধানতম দায়িত্ব হলো সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু শিক্ষাখাতকে বাণিজ্যিকীকরণের ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার সুযোগ ক্রমাগত সীমিত হয়ে পড়ছে। প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হওয়ার পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ‘পুনঃভর্তির’ নামে অযৌক্তিক অর্থ আদায় করছে। একই শিক্ষার্থীকে বারবার একই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে বাধ্য করা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি এটি পরিবারের আর্থিক সক্ষমতায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।”
তিনি আরও বলেন, “অতিরিক্ত মাসিক বেতন আদায়ের ফলে অনেক শিক্ষার্থী অর্থনৈতিক চাপে ঝরে পড়ছে। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার, যা কারও ব্যবসায়িক স্বার্থে ক্ষুন্ন হতে পারে না। এই ধরনের আর্থিক শোষণ মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মতো ত্যাগী আন্দোলনের চেতনাকে অসম্মান করে। এটি শহীদদের রক্তের প্রতি এক প্রকার বেইমানি।”
সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা বলেন, “বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন অনতিবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান দাবি করছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন এই অন্যায় পুনঃভর্তি ফি প্রদানে বিরত থাকেন এবং এই সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যৌথ উদ্যোগে আন্দোলন গড়ে তোলেন।শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার এবং এটি কারও বাণিজ্যিক স্বার্থে ক্ষুণ্ন হতে পারে না। অনতিবিলম্বে অযৌক্তিক পুন:ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে এবং মাসিক বেতনের পরিমান কমিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের স্বস্তি এনে শিক্ষার অধিকার রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।"
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট শিক্ষার স্বার্থে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানাই।