শহরের দেওভোগ এলাকায় ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তর (২০) মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি ছিনতাইকারী অনিককে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ও নিহত সীমান্তর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার অনিক সদর থানার গুপচর সুকুমপট্টি এলাকার নয়ন ওরফে মো. মরু সাহার ছেলে। নিহত সীমান্ত শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার বাসিন্দা হাজী আলমের ছেলে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে শহরের দেওভোগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সীমান্তকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার অনিকের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদকসহ ৮টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে তিন জনের নাম জানতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, ছিনতাইরোধে আমরা আমাদের সিনিয়র অফিসারদের দিয়ে আমাদের মোবাইল টিমগুলো ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা তদারকি করছি। আমরা এটা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ছিনতাই হয়তো এত সহজে নির্মূল হবে না তবে আশা করছি, খুব শিগগিরই তা কমে আসবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমেরিকান বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াজেদ আলম সীমান্ত।
তার আগে গত ১২ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দ্যেশ্যে যাওয়ার সময় শহরের দেওভোগের মিন্নত আলী মাজারের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলম বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।