নারায়ণগঞ্জ শহরের মিন্নত আলী মাজারের সামনে সড়কে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত কলেজ শিক্ষার্থী সীমান্ত (২০) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যল কলেজ হাসপাতালে তিনদিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত এগারোটায় মৃত্যুবরণ করেন সীনান্ত। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত সীমান্তের বাবা হাজী আলম।
নিহত সীমান্ত রাজধানীর একটি বেসরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার বাসিন্দা হাজী আলমের ছেলে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে সীমান্ত বড়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ছয়টায় কলেজে যাওয়ার সময় দেওভোগের মিন্নত আলী মাজারের সামনে ছিনতাইকারিদের ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি। এর পর থেকে সীমান্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সন্তানের মৃত্যুতে শোকাহত বাবা হাজী আলম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কলেজে যাওয়ার সময় মিন্নত আলী মাজারের সামনে ছিনতাইকারীরা পথরোধ করে সীমান্তর ব্যাগ, মোবাইল টানাটানি করে। এসময় বাঁধা দিলে ছিনতাইকারিরা তারা মাথা, পেটে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত অবস্থায় সীমান্তকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি বলেন, আমার একটা ছেলে ও একটা মেয়ে। ছেলেটাই ছিল বড়। আমার একমাত্র ছেলে মারা যাওয়ার পর আমরা সদর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। থানায় আমার ভাই গিয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির বলেন, ঘটনার পর ভিকটিম পরিবারের মামলা করার কথা ছিলো পরে তারা আসেননি। তবে ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে সেদিন থেকেই আমাদের অভিযান চলছে।
এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে ওসি আরও বলেন, সীমান্ত মারা যাবার বিষয়টি একটু আগে শুনেছি। মৃত্যুর খবরটি শুনে খুব দু:খ লাগছে। তার চাচা আমার কাছে এসেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি মামলার পর আমরা আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।