মব-মধ্যস্বত্বভোগী নিমূর্ল ও জনবান্ধব রাজনীতির দাবিকে প্রতিবাদ্য করে নারায়ণগঞ্জে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল উদ্যোগে ৭৬ তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ শহীদ জিয়া হলের সামনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের হয়ে ২নং রেল গেইট হয়ে শহীদ মিনারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন, হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল নারায়ণগঞ্জের সভাপতি এডভোকেট সহিদুল ইসলাম টিটু।
সাধারণ সম্পাদক এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তৃতা দেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক ইনচার্জ এম এ করিম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এম হায়দার রানা, হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল নারায়ণগঞ্জ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম খন্দকার, সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির, হুমায়ূন কবির সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুদ্দিন সাগর, সহকারী সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম আকন্দ, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাসুদা বেগম সম্পা, সহ শিশু ও নারী বিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা, মানবাধিকার কর্মী ঝর্ণা রাণী, সোহেল, ফিরোজ, এম এ কাশেম'সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট সহিদুল ইসলাম টিটু বলেছেন, মানুষের সর্বজনীন, সহজাত, অহস্তান্তরযোগ্য ও অলঙ্ঘনীয় অধিকারই হলো মানবাধিকার। মানবাধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি, সবার নিরাপত্তা বিধান এবং স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখে।
১৯৪৮ সালের এই দিনে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেও মৌলিক মানবাধিকার, স্বাধীনতা, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
সাধারণ সম্পাদক এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় প্রতিনিয়ত আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি জনসাধারণের সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তৃণমূল পর্যায়ে কমিশনের কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। সমাজে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি, সহমর্মিতা, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্বের সব নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।