নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

২২ অক্টোবর ২০২৪

শহরের জিমখানায় পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৪:১৮, ২২ অক্টোবর ২০২৪

শহরের জিমখানায় পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত

নারায়ণগঞ্জ শহরে  ছুরিকাঘাতে কামরুজ্জামান (৩০) নামে এক পুলিশের এক এস আই গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান বর্তমানে রাজধানির হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম। 

এরআগে সোমবার দিবাগত রাতে শহরের জিমখানা মোড়ে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন। 

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিহাব জানান, সোমবার রাত আটটার দিকে এস আই কামরুজ্জামান একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে ঘটনাস্থলে যান। এসময় আসামি বাবু (২২) ছুরি দিয়ে তার ডান কব্জিতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। 

পরে সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা আহত কামরজ্জামানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখান থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে নেয়া হলে আহত কামরুজ্জামানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয়।  

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, যে বাবু ছুরিকাঘাত করেছে তার বিরুদ্ধে একটি মামলার ওয়ারেন্ট ছিল। এবং সে মাদক ব্যবসায়ি। আসামি বাবুর অবস্থান জানতে এস আই কামরুজ্জামান সেখানে সিভিলে গিয়েছেন। পুলিশের লোক টের পেয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বাবু। আহত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান বর্তমানে রাজধানির হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, এস আই কামরুজ্জামান সদর থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এই এলাকার মাদক ব্যবসায়িদের সাথে তার সখ্যতা গড়েউঠে। হয়তো মাসিক সামারি নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তার পরিচিত মাদক ব্যবসায়িদের এক সদস্য তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। তিনি যদি আসামি ধরতে আসবেন তাহলে তিনি সিভিল পোশাকে আসতেন না। আর আসলেও তার সাথে সদর থানা পুলিশি থাকতো। 

সম্পর্কিত বিষয়: